আসামিকে গ্রেফতারের পর দ্রুত আদালতে না পাঠিয়ে থানা হেফাজতে আটকে রেখে বেধরক মারধর এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেন রওশন আরা বেগম নামে এক বৃদ্ধা। এ সময় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তিনি থানা হেফাজতে নির্যাতনের শিকার এক নারী আসামির মা। লিখিত বক্তব্যে ওই বৃদ্ধা জানান, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় আটক দেখিয়ে তার মেয়ে সেলিনা বেগমসহ আরো ৮ জনকে থানা হেফাজতে শারিরীক এবং মানসিক নির্যাতন করেছে পুলিশ। আটকের ২৪ ঘণ্টা পর তাদেরকে আদালতে তোলে। এই দীর্ঘ সময় থানায় অনাহারে রাখা হয় তাদের।
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের কাছে পুলিশ অনৈতিক সুবিধা পেয়ে এমন অমানবিক কাজে উৎসাহী হয়েছে দাবি তার। তিনি জানান, উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের কিসমতদাপ গ্রামে তার মেয়ে সেলিনা বেগমের বাড়ি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আটোয়ারী থানার ২ পুলিশ সদস্য সিভিল পোশাকে সেলিনা বেগমদের বাড়িতে যায় এবং তার দেবর সহিদুল ইসলামকে আটক করে। এসময় বাড়ির লোকজন সিভিল পোশাকের ব্যক্তিদের পরিচয় এবং আটকের কারণ জানতে চান। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে পুলিশ দ্বয় মারমুখি আচরণ শুরু করে এবং সেলিনা বেগমকে লাথি মারে। এ অবস্থায় ওই দুই=জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পরিবারের লোকদের। পরে থানার অতিরিক্ত পুলিশ এসে সবাইকে বেধরক মারধর করে এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মোট ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। বৃদ্ধা রওশন আরা বেগম বলেন, সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত কারণে আমার মেয়ে সেলিনা বেগমের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় একই এলাকার পজির উদ্দীন এবং ফয়জুল ইসলামের সঙ্গে।
এই বিরোধকে কেন্দ্র করেই পুলিশ অনৈতিক সুবিধা পেয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ হয়রানিমূলক মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আটোয়ারী থানার ওসি মো. সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ সদস্যদের মারপিট ও আসামি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন