ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের নরসুন্ধা নদের ওপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর কাজ ফেলে আবারোও ঠিকাদার উধাও হওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ সড়কে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী হাজারো যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। সেতুর ভাঙা ডাইভারসন রোডে প্রতিনিয়ত দুর্ঘঠনায় দু’জনের প্রাণহানীসহ অনেকইে পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে ঐ বছর ৩০ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো সেতুর গার্ডার নির্মাণ কাজই অসমাপ্ত রয়েছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু ও ডাইভারসনের বেহাল অবস্থা, কথা হয় স্থানীয় এলাকার জাহিদুল হক মিন্টু নামের এক গাড়ির চালক ও এলাকাবাসীর সাথে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবহেলায় সেতুর কাজে অবৈধ বিদ্যুতের তারে স্থানীয় এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, এ ছাড়াও সেতুর দু’পাশে কোন সর্তকতা মূলক সাইবোর্ড না থাকায় এক সিএনজি চালক গভীর রাতে কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালতে গিয়ে গার্ডারে ধাক্কা লেগে চালক আহত হয়ে প্রাণে বাঁচলেও মারা যায় এক মহিলা যাত্রী।
জানা যায়, ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩ বছরেও সেতুর কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। ঐ রাস্তায় চলাচলকারী জলসিড়ি পরিবহনের চালক জুয়েল মিয়া, খোকন মিয়া জানান- এ রকম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপর ব্রিজের কাজ করতে হলে ডাইভারসনে বিকল্প বেইলি সেতু নির্মাণ করতে হয়, কিন্তু তা ঠিকমত না করায় ঢালু দিয়ে গাড়ি উঠা-নামায় ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান ডাইভারসনে শুকনা মৌসুমে ধুলা-বালিতে নাক মুখ বন্ধ হয়ে যায়, বর্ষায় কাঁদা মাটিতে গাড়ি উল্টে গিয়ে নদে পড়ে দুর্ঘটনার পতিত হয়ে অনেকের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও অনেক ড্রাইবার যাত্রী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হক দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের অবহেলার কারণে এখানে একাধিক প্রাণহানির ও দুর্ঘঠনা ঘটেছে। ঠিকাদার সময়মত কাজ শেষ করলে এরকম প্রাণহানি ও দুর্ঘটনাগুলো হতো না। কিশোরগঞ্জ এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো: হাবিবুল্লাহ জানান, আগামী এক মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন