কাদিয়ানীদের সালানা জলসা ঘিরে
ভাঙচুর লুটপাট ও গুজবের সাথে জড়িত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, কাদিয়ানীরা ২ জন মুসলমানকে জবাই করে হত্যা করেছে এমন গুজব সংবাদ শনিবার রাত ৯ টায় পঞ্চগড় শহরে ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ করে দিকবেদিক ছোটাছুটি করে মানুষ, আবার উত্তপ্ত হয়ে যায় পঞ্চগড়। শুরু ভাংচুর জালাও পোড়াও।এঘটনায় ফজলে রাব্বী(৩০) কে আটক করে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার রাজনগর এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে বিএনপির রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত।এছাড়া আরো ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে শুক্রবার যোহরের নামাযের পরে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে পঞ্চগড় শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাঁধা দেয়।এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে অসংখ্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। অপরদিক থেকে মুসল্লীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে একজন মুসল্লি ও একজন কাদিয়ানী নিহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে তৎপর থাকার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকেই ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম সফিকুল ইসলাম আটক হয়েছে কিন্তু কতজন আটক হয়েছে, সেটা নিশ্চিত বলতে না পারে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা সাথে যোগাযোগ করতে বলেন,তবে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি ওই কর্মকর্তাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন