পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সালানা জলসা ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ,র্যাব ও কাদিয়ানীদের করা মামলায় পাড়া-মহল্লায় গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।সোমবার দুপুর পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৯০ জন।থানায় আটককৃত শ্যালক ফরিদুল হককে ভাত দিতে এসে আটকের স্বীকার হয়েছেন দুলাভাই আনিছুর ইসলাম।আটকের পর বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
পুলিশ জানায়,পঞ্চগড় সদর থানার চারজন উপ-পরিদর্শক একজন র্যাব কর্মকর্তা ও কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মোহাম্মদ ওসমান আলী নামের এক ব্যক্তি মামলাগুলো দায়ের করেন।ছয়টি মামলায় হাজার হাজার অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, সরকারি কাজে বাধা,ককটেল বিস্ফোরক,অন্যায় আক্রমন,হত্যা, ভাঙচুর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জখম, হুকুমদান ও ক্ষতিসাধন।
এর আগে শুক্রবার যোহরের নামাযের পরে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে পঞ্চগড় শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাঁধা দেয়।এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে অসংখ্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ । অপরদিক থেকে মুসল্লীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে একজন মুসল্লি ও একজন কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের যুবক নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.দুলাল উদ্দিন বলেন, পৃথক পৃথক মামলায় সোমবার বিকাল পর্যন্ত ৯০ জনকে আটক করে, আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন