বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ নীলফামারীর ডোমার বিএ ডিসি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন। খামারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গুনগতমানের নতুন-নতুন জাতের বীজ আলু উৎপাদনে রেকর্ড করেন। এ বছর ৩৮০ একর জমিতে বীজ আলু উৎপাদনের কর্মসূচি রয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২শ’ মেট্রিকটন। নীলফামারীর ডোমার বিএ ডিসি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন করে দেশে কৃষকদের বীজ আলুর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা খামারে যোগদানের পর খামারে বীজ আলুসহ গম ও ধানবীজ উৎপাদনে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি যোগদানের পর খামারের চিত্র পাল্টে গেছে। বীজ আলুসহ অন্যান্য বীজ উৎপাদনে রেখেছেন অগ্রনী ভুমিকা। প্রধানমন্ত্রীর কথা এক ইঞ্চি জমি পতিত থাকবে না তারই আলোকে কাজ করেও চলেছেন। তিনি যোগদানের পর খামারে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
ডোমার বিএ ডিসি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার প্লান্টনে (ল্যাবরেটরিতে), মিনিটিউবার ডোমার খামার, প্রাকভিত্তি (নেটহাউজ) ভিত্তি বীজ (ডোমার খামারসহ বিভিন্ন খামারে) আলু চাষ করে বীজ আলু উৎপাদন করে সারাদেশে কৃষকদের মাঝে বীজ আলু সরবরাহ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের কৃষকেরা আলু উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেন। এ আলু বীজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হলে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব হবে।
খামারের শ্রমিক নাসির উদ্দিনসহ আরো অনেকে বলেন, ডোমার বিএ ডিসি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে আমরা কাজ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। খামারে শত শত শ্রমিক কাজ করে প্রতিদিন ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করছে।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার বলেন, এবার নিয়মিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্পেশাল কিছু কাজ করা হচ্ছে। যেমন ফরমালিন দিয়ে মাটি শোধন, চুন প্রয়োগ, এবং ভার্মিকম্পোজ প্রয়োগ করা। মাটির গুণগত মান বজায় রাখার জন্য এ কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা কোয়ালিটির বিষয়ে আপোষ করি না। এককভাবে সবাই মিলে কাজ করছি। এখন মেকানিক্যালের যুগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলু বাছাইয়ে জন্য গ্রেডার মেশিন দিয়ে আলু গ্রেডার করছি। এতে আলুর গুণগত মান আরো বাড়বে।
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বীজ আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আতুর ঘর বলা যায় অত্র খামারটিকে। এবছর ৩৮০ একর জমিতে বীজ আলু উৎপাদনের কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে মিনি টিউবার, ব্রিডার ভিত্তি বীজ রয়েছে এবং আমদানিকৃত উৎস থেকে রয়েছে। এ বছর আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেটি প্রায় ২ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন। বিশেষ করে আমরা বিএ ডিসির ইতোমধ্যে ১০টি জাত নিবন্ধিত হয়েছে। বীজ আলুর এই জাতগুলোর মধ্যে রফতানি উপযোগী জাত, খাবার উপযোগী, শিল্পে ব্যবহার উপযোগী জাত। এই জাতগুলোকে টার্গেট করে আমরা এই উৎপাদন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের যে ১ নম্বর জাতটি রয়েছে বিএ ডিসি আলু, সানশাইন এই জাতটি ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক সারা ফেলেছে। রফতানি ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে ৩০ লাখ মেট্রিক টন বীজ আলু উদ্ভিদ থাকে এই উদ্ভিদ আলুটাকে রপ্তানি করা গেলে আমাদের যে, বাজার ব্যবস্থা আছে বাজার ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে প্রেক্ষাপটে বিএ ডিসি কাজ করছে।
মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদনের সংরক্ষণ কৃষক পর্যায়ে জোরদার প্রকল্পের মাধ্যমে অত্র খামারে যে জাতগুলো রয়েছে সানশাইন, কুইনঅ্যানি, লেবেলা এই জাতগুলোকে আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারি। উদ্ভিদ আলুটা রয়েছে তাহলে আমাদের ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা রফতানি আয়ে অর্জন করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন