স্টাফ রিপোর্টার : যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতারা জেলা পরিষদের ভোটকে সংবিধান পরিপন্থী ও রসিকতার ভোট বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে আরও ধ্বংস করবে বলেও বক্তব্য দিয়েছেন। তারাই আবার দল বেঁধে ভোট দিয়েছেন। এটা আবার কোন রসিকতা ?
গতকাল সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভার প্রস্তুতিতে মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অংশ নেয় নাই, তবে দল বেঁধে ভোট দিয়েছেন।
গতকাল পত্রিকায় দেখলাম ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি মহিলা দলের আহŸায়ক ফোরাতুন নাহার ভোট দিচ্ছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেব, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা বললেন জেলা পরিষদের নির্বাচন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আবার বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান সাহেব বললেন রসিকতার এই নির্বাচন। এরা হলেন কেন্দ্রীয় নেতা। আর তৃণমূলের বিএনপি-জামায়াত নেতারা দল বেঁধে ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদেরই।
তিনি বলেন, জেলা বিএনপি মহিলা দলের আহŸায়ক ফোরাতুন নাহার যিনি ঠাকুরগাঁও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানও তিনি বলেছেন ভোট আমার নাগরিক অধিকার। কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন বর্জন করে, প্রার্থী না দিলেও ভোট দিতে এসেছি। যে নির্বাচন কেবল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন, সেখানে তাদেরই ভোট দিতে হয়েছে। ভোট বর্জন করতে কেন্দ্র বলেছে। কিন্তু ভোট প্রতিহত করার ঘোষণা দেননি। ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয় নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। স্পিকার, সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট ও স্পিকার যেভাবে নিবাচিত হন, সেভাবে ইলেক্ট্রোরাল ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় নয়। বলুনতো, কোন সংবিধানের বদৌলতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন? কোন সংবিধানের বদৌলতে বেগম খালেদা জিয়া, মতিউর রহমান নিজামী গংদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
ওমর ফারুক আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। তাহলে কেন জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করেনি তারা। তাই বলব, ভবিষ্যৎ জানতে অতীত পাঠ করুন। যারা অতীত মনে রাখে না, তারাই অতীতের দোষে দুষ্ট। বর্তমানকে দেখুন জ্ঞানের দৃষ্টিতে। কারণ এটাতেই আপনারা বর্তমান।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, মহানগর সহসভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন