মোবায়েদুর রহমান : এটি একটি রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, একটি ক্যালেন্ডার বছর শেষ হলে এবং নতুন ক্যালেন্ডার বছর শুরু হলে গেল বছরের স্টকটেকিং বা সালতামামি হয়। অনেক দিন হলো এই রেওয়াজটি চলে আসছে। সব সময়ই দেখা যায় যে, যে বছর চলে গেল, সেই বছরটি ছিল ঘটনাবহুল। কিন্তু এবার কি সেই কথা বলা যাবে? মোটেই বলা যাবে না। শুধু এ বছর কেন, ২০১৩ সাল থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি ভিন্ন রূপ নিয়েছে। বলা যায়, একমুখী হয়েছে। একটি বহুল প্রচারিত অনলাইন পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু একজনই বিচরণ করছেন। তিনি হলেন আওয়ামী লীগ প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সারা মাঠ দখল করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে আওয়ামী শুধু মাঠ নয়, সরকারও দখল করে রেখেছে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনাও রয়েছে। কিন্তু কঠোর সত্য হলো এই যে, সরকার এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে জেঁকে বসে আছে। সেক্যুলার ঘরানা থেকে একটি সাধারণ ব্যাখ্যা দেওয়া হয় যে, একটি দুর্বল বিরোধী দল পেয়ে সরকারি দল একাই মাঠে খেলছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াত এত দুর্বল হলো কেন? যারা বাংলাদেশের রাজনীতি সেই পাকিস্তান আমল থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা মোটামুটি একমত যে, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে যে দমননীতি চালিয়ে বিরোধীদলীয় আন্দোলন দমন করা হয়েছে তার ফলে বিরোধী দলের, বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতের মাজা ভেঙে গেছে। তারপর থেকে ২০-দলীয় জোট আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কবে যে তারা ঘুরে দাঁড়াবে তাও কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। সুধী সমাজ বলাবলি করছে যে, ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ তে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন ক্রাশ করতে গিয়ে সরকার বিরোধীদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে।
কিন্তু রাষ্ট্র এবং সমাজবিজ্ঞানীরা এ প্রশ্নও করছেন যে, আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে সরকার যে পেরেকটি ঠুকলেন, সেটি কি বিরোধী দলের গায়ে ঠোকা হলো, নাকি গণতন্ত্রের গায়েই ঠুকে দেয়া হলো? যারা বিবেকবান মানুষ, যারা কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির ঘেরাটোপে বন্দি নন, তারা মনে করেন, সরকার শুধুমাত্র বিরোধী দলকেই ক্রাশ করেনি, সেই সাথে গণতন্ত্রকেও ক্রাশ করেছে।
অথচ ভারত বিভক্তির পর, বিশেষ করে পাকিস্তানের ঊষালগ্ন থেকে, সেই গণতন্ত্রের জন্যই মানুষ নিরন্তর সংগ্রাম করেছে। পাকিস্তানের প্রথম ১০ বছর সংসদীয় গণতন্ত্রের সাইনবোর্ড ঝুলানো ছিল। কিন্তু থাকলে কী হবে, নেপথ্য থেকে জাঁদরেল আমলারা বারবার গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করেছেন। এসব কুখ্যাত আমলার মধ্যে ছিলেন পাকিস্তান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসের গোলাম মোহাম্মদ, যিনি হয়েছিলেন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল। এসব বিষয় নিয়ে দৈনিক ‘ইনকিলাবে’ আমি অনেকবার লিখেছি। তবে আজ একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় বলতে চাই, যেটি না বললে অনেক বিষয় পাঠকের কাছে ক্লিয়ার হবে না। সেটি হলো, ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান স্বাধীন হলেও পরবর্তী ১০ বছরে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রচিত হয়নি। ১৯৫৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাকিস্তান ব্রিটিশের তৈরি ১৯৩৭ সালের ভারত শাসন আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। ভারত শাসন আইনে রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন গভর্নর জেনারেল, প্রেসিডেন্ট নন।
একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের নিজস্ব শাসনতন্ত্র বা সংবিধান থাকে। সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে বলা হয় প্রেসিডেন্ট। সংবিধানে যদি পার্লামেন্ট হয় অল পাওয়ারফুল, অর্থাৎ সার্বভৌম, তা হলে প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব মেনে চলতে হয়। কিন্তু ১৯৩৭ সালে বৃটিশদের আইন, অর্থাৎ ভারত শাসন আইনে একদিক দিয়ে বলতে গেলে গভর্নর জেনারেল ছিলেন সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ক্ষমতা রাখতেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখতেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাতিল করার এবং প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাও বাতিল করার ক্ষমতা রাখতেন। তাই আমরা দেখি যে, গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিনকে বরখাস্ত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীকে বরখাস্ত করেছেন, গণপরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা সাবেক পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভা বরখাস্ত করেছেন। গোলাম মোহাম্মদের এসব অপকীর্তির সুযোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান সেনাপতি জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান। তবে আইয়ুব খান যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন কিন্তু দেশে শাসনতন্ত্র প্রণীত ও চালু হয় এবং সেই শাসনতন্ত্র মোতাবেকই দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। নতুন শাসনতন্ত্র মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক অর্থসচিব, সাবেক অর্থমন্ত্রী চৌধুরী মোহাম্মদ আলী। তারপর প্রধানমন্ত্রী হন আওয়ামী লীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মালিক ফিরোজ খান নূন। আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখল ছিল শাসনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শাসনতন্ত্র ভঙ্গ করে তিনি সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। তবে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনকে পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের জনগণ ওয়েলকাম করেছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১০ বছর পর্যন্ত যে রাজনৈতিক নৈরাজ্য, স্থিতিহীনতা এবং অস্থিরতা চলছিল তার ফলে জনগণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি চরম বিরক্ত হয়েছিল।
দুই.
বস্তুত আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধেই গণতন্ত্রের জন্য জোরদার রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, তার সাথে আতাউর রহমান খান, শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম খান প্রমুখ। পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্রের আরেকজন লড়াকু সেনাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। পশ্চিম পাকিস্তানে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো, সরদার আবদুল কাইয়ুম খান, খান আবদুল ওয়ালী খান প্রমুখ। গণতন্ত্রের প্রবল দাবির কাছে জেনারেল আইয়ুব খান আংশিক নতিস্বীকার করেন এবং মৌলিক গণতন্ত্র নামে এক আজব গণতন্ত্র চালু করেন। এই গণতন্ত্রের পর যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রার্থী মিস ফাতেমা জিন্নাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। এভাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম ১০ বছরে যে অসাংবিধানিক নৈরাজ্য বিরাজ করে সেই পরিস্থিতিরই সুযোগ গ্রহণ করেন জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান। সেই অসাংবিধানিক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র, সাংবিধানিক সরকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং পূর্ব পাকিস্তানের অন্য গণতান্ত্রিক নেতৃবৃন্দ।
সেই অগণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিল। সেখানে এসেছে স্বাধীনতা। আজ তা হলে সেই স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সাংবিধানিক সরকার এবং আইনের শাসনের জন্য লড়াই করতে হবে কেন? আমরা যেমন পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতিহাসকে অস্বীকার করতে পারি না; তেমনি বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসকেও অস্বীকার করতে পারি না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেখানে শাসক দল আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে। পার্লামেন্টে আওয়ামী সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে যখন পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ছিল তখন তো বিরোধী দল থাকবেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও তেমনি বিরোধী দল ছিল। কিন্তু সেসব বিরোধী দল সরকারের প্রতি কোনো হুমকি ছিল না। তাই স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর পর একদলীয় প্রেসিডেন্সিয়াল সরকারের কোনো প্রয়োজন ছিল না। তারপরও সব দল বিলুপ্ত করে বাকশাল নামক একটি নয়া দলের জন্ম দিয়ে সেটি বহাল রাখা হয়।
তিন.
এর পরের ঘটনা সকলেই জানেন। দেশ থেকে একদলীয় শাসনের অবসান ঠিকই ঘটে, কিন্তু দেশ চলে যায় সামরিক শাসনের অধীনে। সামরিক শাসন জারির পর এরশাদ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকেন এবং ব্যক্তি স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেন। আবার শুরু হয় সংগ্রাম। স্বৈরাচার উৎখাত এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ৯ বছরের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মুখ্য দাবি ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। খাঁটি ও নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। দেখা গেল, পরবর্তী ২৩ বছর গণতন্ত্র খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটল। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও গণতন্ত্র তো চলমান ছিল, হতে পারে তার গতি ছিল মন্থর, হতে পারে সে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছিল।
গণতন্ত্র সচল থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সেই ২৩ বছরের বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে এবং অভিযোগ তোলে জোরেশোরে। আওয়ামী লীগ একটি নতুন শব্দ উদ্ভাবন করে। শব্দটি হলো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। একই সাথে আরও দুটি আওয়াজ তোলা হয়। সেগুলো হলো ভোটের অধিকার এবং ভাতের অধিকার। অথচ বাস্তবে দেখা যায় যে, জনগণের ভোটের অধিকার ছিল। আর ভাতের অধিকারের প্রশ্ন যে কীভাবে আসে তা সেদিন অনেকেরই বোধগম্য হয়নি। কারণ অভাব-অনটনের দেশ হলো বাংলাদেশ। ছোট দেশ, অনেক মানুষ। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। তাই বলে জনগণকে ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এমন অভিযোগ বাংলাদেশের কোনো সরকারের বিরুদ্ধে ওঠেনি।
বর্তমান সরকার যখন প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসে তখন প্রথম দুই বছর গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে জোরেশোরে কোনো কথা ওঠেনি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিরোধী দল গণতন্ত্র হরণ সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ২০১২ সালে বিরোধী দল ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। সেই মহাসমাবেশ ভ-ুল করার জন্য সরকার নিজেই ঢাকার সাথে মফস্বলের নৌ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেকেই তখন ঠাট্টা করে বলেছিল হরতাল বা ধর্মঘট ডাকে সাধারণত বিরোধী দল। কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকার স্বয়ং হরতাল বা ধর্মঘট ডাকেÑ এমন কথা কোনো দিন শোনা যায়নি। এরপরও একাধিকবার বিরোধী দলের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারিভাবে নানা রূপ বাধাবিঘœ সৃষ্টির ঘটনা ঘটে।
চার.
রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জনের নির্বাচিত হওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এ কথা কি কেউ জানেন যে, নির্বাচনের আগে অর্থাৎ ৫ই জানুয়ারির আগেই আওয়ামী লীগ ১২৭টি আসন লাভ করে। সরকার গঠন করার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল আর মাত্র ২৪টি আসন। সেই ২৪টি আসন লাভ করতেও তাদের কোনো ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ এদের তিনটি দলের সকল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান। আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থিরা বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসে ১৯৯৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সবচেয়ে বিতর্কিত, সমালোচিত এবং নিন্দিত নির্বাচন বলে মনে করেন। তাদের দৃষ্টিতে এমন চরম একটি বিতর্কিত নির্বাচনেও ৪৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। অথচ ২০১৪ সালের ইলেকশনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটিরও বেশি ভোটারকে ভোট দিতে হয়নি। এমন একটি নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হলো, দেখা গেল যে, সেই সরকারই বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার। এই সরকারের আমলে বিরোধী দলের মিছিল নেই, মিটিং নেই। নেই কোনো সমাবেশ। সভা করতে গেলে দরখাস্ত করে অনুমতি প্রার্থনা করতে হয়। সেই অনুমতি দেয়া হয় না। বিরোধী দলও আর কোনো কথা বলে বলে না। ২০১৬ সালের রাজনৈতিক সালতামামি হলো অনাবিল শান্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন