চট্টগ্রাম ব্যুরো : ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একসাথে কেক কাটলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণিকে নিয়ে দুই নেতা গতকাল (বুধবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
বিরোধের কারণে দুই নেতাকে সাধারণত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসাথে কমই দেখা যায়। তবে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দুই নেতার উপস্থিতিতে উজ্জীবিত হয়ে উঠে নেতাকর্মীরা। তারা দু’জনই অতীতে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিবছর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দেন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গত বছর নগর ছাত্রলীগের মূলধারার এই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন না।
নগর ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি অংশের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন অংশটি মহিউদ্দিন অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মেয়রের অনুসারী হিসেবে পরিচিত অপর অংশটি নগরীর জে এম সেন হলে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের কর্মসূচিতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের মধ্যে হানাহানি বিদ্বেষ যেন না হয়। কোথাও কিছু হলে, তোমরা কর আর না কর, ছাত্রলীগের নাম আসে। পত্রিকার পাতায় ছাত্রলীগের নামে কোন নিউজ যেন আর না পাই। পত্রিকায় তোমাদের নাম দেখলে অন্তরে ব্যথা লাগে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি কেন হবে? খুনোখুনি করবে না। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরবে। ছাত্রলীগের নামে সেøাগান দেবে। এমইএস কলেজ, সিটি কলেজ আলাদা-আলাদা নামে সেøাগান দিলে মনে হয় বিভক্তি আছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে বন্ধু বানানোর দরকার নেই। বাসায় গিয়ে পরিবারের মধ্যে বলবে, কেউ যেন জামায়াতের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে। যে জামায়াত করে তাকে বলবে, জামায়াত করবেন না।
আওয়ামী লীগকে ২০১৯ সালে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসবে আসবে বলে ঘরে বসে থাকলে হবে না। কাজ করতে হবে। মানুষের মন জয় করতে হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে যাদের বাসা তারা রাতে নাকি ঘুমাতে পারে না। খালি গোলাগুলির শব্দ হয়। এগুলো করার পর যদি আমরা ভোট চাইতে যাই মানুষের কাছে, মানুষ ভোট তো দেবে না, ঝাঁটা দিয়ে পেটাবে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ এমন এক সংগঠন যে সংগঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। ছাত্রলীগ যুগে যুগে অসংখ্য দেশপ্রেমিক মেধাবী রাজনীতিকের জন্ম দিয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমাদের সত্যিকারের সুনাগরিক হতে হবে। নীতিবান, আদর্শবান, দেশপ্রেমিক হতে হবে। সংগঠনের নীতি, আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে নিজেদের সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামীতে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন