দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের চেঙ্গা মধ্যপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার নেশা ও জুয়ার টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পাষ- স্বামী আইয়ুব আলী ওরফে ডালিমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলা সদরের চেঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী ওরফে ডালিমের সাথে প্রায় ২০ বছর পূর্বে রুলি বেগম (৪০) বিয়ে হয়। দীর্ঘ দিন ঘর সংসার চলাকালীন তাদের সংসারে ৩ ছেলের জন্ম নেয়। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আইয়ুব আলী ওরফে ডালিম জুয়া ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। পূর্বে কয়েকবার জুয়া ও নেশার টাকার জন্য সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করেছে। এতে বাঁধা দেয়ায় বিভিন্ন সময় গৃহবধূ রুলি বেগম তার স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে আইয়ুব আলী ডালিম নেশার জন্য স্ত্রী রুলির কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায় তাকে বাড়ির পার্শ্বে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে। এ সময় গোপানাঙ্গে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পাষ- স্বামী ডালিম পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসারত রুলি বেগম জানায়, ইতিপূর্বে তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্তে কোন অভিযোগ পাননি। তবে গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তাৎক্ষণিকভাবে একজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছিলেন। নেশার টাকার জন্য গৃহবধূ রুলি বেগম (৪০) চড়-থাপ্পরসহ মারপিটের ঘটনার সত্যতা পেলেও গাছের সাথে বাঁধা কিংবা গোপানাঙ্গে মরিচ দেয়ার তথ্যের তাৎক্ষণিকভাবে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। একই সাথে তিনি আরো জানান, এ সংক্রান্তে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন