অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চা-শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে এই শিল্পের যে কোনো উদ্যোগকে সরকার সহযোগিতা করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা পুষ্পগুচ্ছ হলে বাংলাদেশ চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, চা-শিল্পের ইতিহাস অনেক পুরনো হলেও এ রকম প্রদর্শনীর আয়োজন এইবারই প্রথম। এ প্রদর্শনী এই শিল্পকে এগিয়ে নেবে। দেশে প্রথমবারের মতো এই চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-১৯ ও বিটি-২০ নামে চায়ের দুটি নতুন জাত উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
চা-শিল্পের শ্রমিকদের বাসস্থানের জন্য স্বল্প সুদে তহবিল করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে চায়ের উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় কাছাকাছি। ভবিষ্যতে এই শিল্পে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানো হলে বাংলাদেশ চা রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
স্বাগত বক্তব্যে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের চা-শিল্প মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। দিন দিন চায়ের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বের মোট চা উৎপাদনের ৩ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান আরদাশীর কবির, চা ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তনু বিশ্বাস, চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। এই প্রদর্শনীর ফেসবুক পেজে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতে পারবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রদর্শনীতে ৩০টি প্যাভিলিয়ন ও ১৬টি স্টল থাকবে। এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে সিটি গ্রুপ, ডানকান ব্রাদার্স বাংলাদেশ, ফিনলে টি, এইচআরসি, ইস্পাহানি ও সিলোন টি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন