সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় গাড়ি চাপা পড়ে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পুলিশ কনষ্টেবলের নাম মোঃ বাহার উদ্দিন (২২)। তিনি নোয়াখালী সদর সুধারামপুর থানার মোঃ বাচ্চু মিয়ার পুত্র। থানা সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুন্ড মডেল থানার এএসআই হুমায়ন কবির, এএসআই মোঃ তারেক, কনস্টেবল মোজাম্মেল, বাহার উদ্দিন ও ইশতিয়াক বৃহস্পতিবার বিকালে বিশেষ অভিযানে যান। অভিযানে মাহামুদাবাদ গ্রাম থেকে সাজা প্রাপ্ত এক আসামি কাজী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় রেখে পুনরায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে একই টিম বাঁশবাড়িয়ায় যায়। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাদের গাড়িটি মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে দাঁড়ালে তারা জানতে পারেন টার্গেটকৃত আসামিরা মহাসড়কের পূর্বপাশে বাজারে অবস্থান করছে। এতে পুলিশ সদস্যরা একে একে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হতে থাকেন। সবাই পেরিয়ে গেলেও দ্রুত গতির একটি লরি (চট্টমেট্রো ঢ ৮১-০৭০৫) বাহার উদ্দিনকে (কনস্টেবল নং ২৫৩৮) চাপা দেয়। এ সময় তার কোমর পর্যন্ত শরীরের অধিকাংশ লরির নিচে পড়ে গেলে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন তিনি। ঘটনার সাথে সাথে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে সীতাকু- হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সীতাকু- থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক প্রতিবেদককে বলেন, কনস্টেবল বাহার বিকাল থেকে একাধিক অভিযানে অংশ নেয়। তারা একজন আসামি গ্রেপ্তার করে থানায় রেখে পুনরায় আসামি গ্রেপ্তার করতে বাঁশবাড়িয়া যায়। সেখানে মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী লরি তাকে চাপা দিলে সে মারা যায়। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘাতক লরিটি ও চালক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (২৮) কে গ্রেপ্তার করে। সে নোয়াখালীর সেনবাগ থানার আব্দুল্লাপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রবের পুত্র। সীতাকু- থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান বলেন, আসামি গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিলো কনষ্টেবল বাহার উদ্দিন। দায়িত্বরত অবস্থায় লরি চাপায় সে নিহত হয়েছে। আমরা ঘাতক গাড়িটি আটক ও চালককে গ্রেপ্তার করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন