শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রভাবশালীদের ইন্ধনে এখনো বই পায়নি দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা  : নীলফামারীর ডোমারে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনের কারণে এখনো বই পায়নি একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন প্রভাবশালীর পক্ষ নিয়ে বরাবরের মতই রয়েছে নীরব। প্রশাসনের এ নীরবতাকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতাকে ঘিরে। নিরুপায় হয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরোনো বই যোগাড় করে কোনমতে নুতন বছরে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠ নামের একটি সম্পূর্ণ বেসরকারী নি¤œ মাধ্যেমিক বিদ্যালয়ে। জানা যায়, এলাকার কতিপয় বিদ্যোৎসাহী যুবক মিলে ২০১৫ সালে সম্পূর্ণ বেসরকারী অর্থায়নে উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের বোড়াগাড়ী বাজারে জনৈক রশিদুল ইসলামের ভাড়া বাড়ীতে সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠ নামের একটি সম্পূর্ণ বেসরকারী নি¤œ মাধ্যেমিক বিদ্যালয় চালু করে। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়টি পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়। যার স্বারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৭২.৩৪.০২১.১৫.৬৫৩। ২০১৬ সালে ৮০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ওই বিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাড়ীর নিকটেই একটি বিদ্যালয়ের নামে একটি জমি কিনে ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি তার নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাড়া বাড়ীর মালিক শিবলী সাধন বিদ্যালয়কে দেয়া তার ভাড়া বাড়ীতে কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ৮/১০ জন শিক্ষার্থী দেখিয়ে ওই নামে একটি বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে ও বিদ্যালয়টি সেখানে রয়েছে বলে দাবী করে। এ অবস্থায় একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমে পড়ে এবং তারা ইন্ধন দিতে থাকে ভাড়া বাড়ীর সেই কথিত বিদ্যালয়টিকে। এ কাজে সহায়তা করে ডোমার উপজেলা প্রশাসন। বই বিতরনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তারা ওই বিদ্যালয়টিকে বই না দিয়ে বা কোন প্রকার তদন্ত না করে কোন ব্যাবস্থা না নিয়েই অজ্ঞাত কারনে বই বিতরন বন্ধ রেখেছে। অপরদিকে অনুমতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এলাকার সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর সুপারিশপত্র নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৮০ সেট ও ৭ম শ্রেণীতে ৮০ সেট বইয়ের চাহিদা পত্র উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করে। চাহিদা দাখিল করার পরেও একই নামে ছাত্রছাত্রীবিহীন আরেকটি বিদ্যালয় রয়েছে মর্মে এই ঠুনকো এ অজুহাতে এখনো বই সরবরাহ করেনি উপজেলা প্রশাসন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় মাত্র কয়েক সেট পুরাতন বই সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠের ভাড়া বাড়ীর মালিক শিবলী সাধন সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়ীতে স্থাপিত সপ্তর্ষী বিদ্যাপিঠ নামের বিদ্যালয়টির পাঠদানের অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠ এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রশ্নকুমার অধিকারী জানান, পূর্বের বিদ্যালয়টির ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাই নতুন জায়গায় বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকেরিনা বেগমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া না যওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন