শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শ্রীপুরে রেলের জমি দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ও রেললাইনের পাশের হাজার হাজার বিঘা জমি জবরদখল করার হিড়িক পড়েছে। এসব জমি নিজেদের দখলে নিয়ে রাতারাতি গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সরেজমিন দেখা যায়, রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথে রাজেন্দ্রপুর, ইজ্জতপুর, শ্রীপুর, সাতখামাইর, কাওরাইদ এ ৫টি রেল স্টেশন। এসব স্টেশন সংলগ্ন ও রেললাইনের দু’পাশের পতিত জমি রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লীজ না নিয়েই যার যার অবস্থান তৈরি করে মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এমনকি দখল নেওয়ার সাথে সাথে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পজিশন হস্তান্তর করে দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ে কর্মচারীদের একটি চক্র এ সমস্ত অবৈধ স্থাপনা থেকে নিয়মিত মাশুহারা আদায় করে থাকেন। একটি প্রভাবশালী মহল অসাদু রেলওয়ে কর্মচারীদের যোগসাজসে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে এককালীন টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ মাসিক ভাড়া আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পৌরশহরের সৌন্দর্য বর্ধন করতে পৌরসভার অর্থায়নে সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- পরিচালনা করার জন্য গড়ে তোলা হয় মুক্তমঞ্চ। কুচক্রী মহল মুক্তমঞ্চের সামনের মাঠে অস্থায়ী ভাবে চা, ফল, কাপড়সহ বিভিন্ন দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। অবৈধ দখলদারদের কারণে শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী ধানের বাজারটি এখন জবরদখলের কারণে বিলীন হওয়ার পথে। রেললাইনের পাশে দোকানপাট গড়ে উঠায় দিনদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। খাদ্য গুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য নির্মিত রেললাইনটি জবর দখলের কারণে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। রেল স্টেশনের প্লাট ফর্মেও গড়ে উঠেছে বহু সংখ্যক দোকানপাট। এছাড়া রাজেন্দ্রপুর, সাতখামাইর, কাওরাইদ রেলস্টেশনেও অবাদে জবরদখল হচ্ছে রেলওয়ের জমি। শ্রীপুরের স্টেশন মাস্টার শাজাহান মিয়া জানান, অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই, জবর দখলের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন