চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে মাছ চাষ করায় সৃষ্ট ঢেউ ও মাছে বাঁধের মাটি খেয়ে ফেলায় জনসাধারণের চলাচলের রিংবাঁধ সড়ক ভেঙে পড়ছে। এতে করে রিংবাঁধ এলাকার মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে যেতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বেড়িবাঁধ এলাকার রঘুনাথপুর, ঢালিরঘাট, ওয়াপদা গেইট, বাগাদী চৌরাস্তা ও নানুপুর এলাকায় রিংবাঁধ ভাঙনের দৃশ্য চোখে পড়ে। রঘুনাথপুর গ্রামের হাজী ফরমান খান বাড়ির ব্যবসায়ী আনা উল্যাহ খান জানান, তাদের এলাকায় পার্শ্ববর্তী বালিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী হানিফা ও খোকন কোনো প্রকার লিজ না নিয়ে গত ৩ বছর মাছ চাষ করছেন। তেলাপিয়া মাছগুলো পাড়ে ঢেউ সৃষ্টি করার কারণে ও মাটি খেয়ে ফেলায় গত বছর থেকে রিংবাঁধ ভেঙে সরু হয়ে গেছে। বাঁধের পাশেই আল-মাদিনা জামে মসজিদসহ বহুসংখ্যক বসতঘরও এখন ভাঙনের কবলে পড়বে। চাষিদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান বহুবার মাছ চাষ না করার জন্য বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। ঢালীর ঘাট এলাকার মাছ চাষি সাহেব আলী জানান, তাদের সমিতির নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আনা লিজ ২০১৪ সালে শেষ হয়ে গেছে। সরকারি এ খাল এখন কাউকে লিজ দিচ্ছে না। পূর্ব থেকে যারা দখলে আছেন, তারাই এখন পর্যন্ত মাছ চাষ করে আসছেন। তিনিসহ ওই এলাকায় আনু বেপারী, ইউপি সদস্য ইছহাক গাজী, সোহেল মিজি, আবু সায়েদ মিজি একইভাবে মাছ চাষ করে আসছেন। মাছ চাষ করার কারণে পাড় ব্যাপক আকারে ভাঙছে বলেও তিনি জানান। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, সেচ প্রকল্প এলাকায় ১ হাজার কিলোমিটার সরকারি খাল রয়েছে। সকল প্রকার ইজারার মেয়াদ ২০১৪ সালে শেষ। কোনো চাষি যেন মাছ চাষ না করে সেজন্য আমরা ওই এসব এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করে দিয়েছি। তারপরও যদি কোনো ব্যক্তি মাছ চাষ করার কারণে রিংবাঁধ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন