শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আনোয়ারায় বাড়ছে লবণ চাষের মাঠ

কম খরচে বেশি লাভের সম্ভাবনা

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আগে তেমন জনপ্রিয় ছিল না লবণচাষ। কম খরচে উৎপাদন ভাল হওয়ায় কয়েক বছর ধরে লবণ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। বছরের পর বছর বাড়ছে লবণ চাষের মাঠ। এসব মাঠে পুরোদমে শুরু হয়েছে লবণ উৎপাদন। জানা যায়, উপজেলার বারশত ইউনিয়নের চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল) সংলগ্ন রাঙ্গাদিয়া ও পারকি এলাকায় শুরু হয়েছে লবণচাষ। চলতি মৌসুমে বাঁশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার বেশ কয়েকজন চাষি প্রায় ৪০ একর জমি লাগিয়ত নিয়ে লবণ উৎপাদন শুরু করেছেন। অথচ গেল মৌসুমে সেখানে লবণ চাষ হয়েছিল  ৮ থেকে ১০ একর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে আরো চারগুণ। তাদের দেখার দেখায় স্থানীয়রাও লবণ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। চাষিরা জানান,  লবণ চাষের জন্য প্রথমে জমিকে ছোট ছোট ভাগ করে নেয়া হয়। এরপর ভেজা মাটিকে রোলার দিয়ে সমান করে বিছিয়ে দেয়া হয় মোটা পলিথিন। জোয়ার আসলেই মাঠের মাঝখানে তৈরি করা গর্তে জমানো হয় সাগরের লবণ পানি। বালতি ভরে বিছানো পলিথিনের উপর রাখা হয় পানি। জলীয় বাষ্প হয়ে উড়ে যায় পানি আর মাঠে জমে যায় লবণের আস্তরণ। সেই লবণ তুলে স্তুপ করে রাখা হয় যেন সরে যায় পানি। এরপরই বস্তায় ভরে লবণ তুলে দেয়া হয় বেপারীর হাতে। চাষিরা আধুনিক পলিথিন ও সনাতন পদ্ধতিতে মাঠে লবণ চাষ করছেন। বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকা থেকে আসা চাষি আবুল কালাম (৪৮) জানান, প্রতি মৌসুমের জন্য কানিপ্রতি (৪০ শতক) জমি ৩ হাজার টাকায় লাগিয়ত নেই। প্রতি কানিতে চাষাবাদে খরচ পড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে লাভ হয় খরচের দ্বিগুণ। তিনি আরো বলেন, ৪০ একর মাঠে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার মণ। প্রতি মণ লবণের দাম ন্যূনতম  চারশ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। সেই হিসেবে বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ ইনকিলাবকে জানান, পারকি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লবণ চাষ। কম খরচে লাভ বেশি তাই স্থানীয়রাও লবণচাষে ঝুঁকছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো চার মাস লবণ উৎপাদন হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন