মোবায়েদুর রহমান : গত কয়েক বছর হলো দেশে একশ্রেণির পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন, তথাকথিত সুশীল সমাজ এবং পলিটিশিয়ান অস্ট প্রহর কথা বলেছেন মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে। কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলেছেন। জনসমর্থনের দিক দিয়ে সংখ্যায় এরা ক্ষুদ্রাংশ হলেও মিডিয়ায় তারা খুবই জোরদার। জার্মানির ডিক্টেটর হিটলারের প্রচার মন্ত্রী ছিলেন জোসেফ গোয়েবলস। গোয়েবলস বলতেন, একটি মিথ্যা বারবার বললে সেটি সত্য হয়ে যায়। গোয়েবলসের প্রচারণার স্টাইলকে গোয়েবলসীয় প্রচারণা বলা হয়। বাংলাদেশের সেক্যুলার এবং বাম ঘরানার নেতারা তাই একই কথা বারবার বলেন। এর ফলে জনগণের মধ্যে সেই মিথ্যা কথার পক্ষে কিছুটা ক্রেডিটিবিলিটি বা বিশ^াসযোগ্যতা এসে যায়।
তবে এসব ব্যাপারে সেক্যুলার এবং বাম ঘরানাকে একতরফা দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারা রাজনীতি বোঝেন। আরও ভালো বোঝেন ক্ষমতার রাজনীতি। তাই কখন কোথায় কী কথা বলতে হবে এবং সেই কথা কতটা বিরতি নিয়ে কতবার বলতে হবে সেটা তারা পূর্বাহ্ণেই হিসাব করে রাখেন। তারা বিলক্ষণ জানেন যে, রাজনীতিতে যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। তাই তারা সব সময় রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ এগুলোর ওপর বেশি করে জোর দেন। রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের লাইসেন্স তারা সেসব ব্যক্তিকেই দেন যারা তাদের দলের প্রতি শুধু সম্পূর্ণ আনুগত্যই পোষণ করেন না, বরং লাইসেন্স পেলে তাদের ঘরানার আদর্শ অর্থাৎ তথাকথিত মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতাকে সব সময় হাইলাইট করেন। তারা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এমন দক্ষতার সঙ্গে প্রোপাগান্ডা চালান যে, চূড়ান্ত বিশ্লেষণে তারা ইসলামকেই মৌলবাদ হিসেবে আংশিক সাফল্যের সঙ্গে চিত্রিত করতে সমর্থ হন। তাদের প্রচারণার চাতুর্যে ইসলাম ধর্মকেই চূড়ান্ত বিশ্লেষণে সাম্প্রদায়িক ধর্ম হিসেবে প্রতিভাত করার চেষ্টা করেন।
দেশে কোনো ব্যক্তি কোনো সেন্সিবল কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে তার পিঠে মৌলবাদী বা সাম্প্রদায়িকতার তকমা এঁটে দেওয়া হয়। ভারতীয় শোষণ, লণ্ঠন, প্রভুত্ব এবং আধিপত্যের বিরুদ্ধে কিছু বললেই পাকিস্তানের দালালের অভিধা দেওয়া হয়। এসব কারণে এখন অনেকেই এ বিষয়ের ওপর লেখা বলতে গেলে ছেড়েই দিয়েছেন। একজন মুক্তমনা এবং অগ্রসর চিন্তার মানুষ হয়েও খামাখা রাজাকার, আলবদর, আল শামস, জামায়াত, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গির সিলমোহর নিয়ে ঘুরবেন কেন? কিন্তু যারা এসব অপবাদের ভয়ে লেখালেখি এবং বলাবলি ছেড়ে হাত গুটিয়ে বসে আছেন অথবা যারা গর্তে সেঁধিয়ে গেছেন তাদের এই পিছু হটার ফলে কঠোর সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে। ফলে একটি নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, যে পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটি জলজ্ব্যান্ত সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। সেই কবিতাটি হলো,
দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে ‘‘তবে আমি কোথা দিয়ে ঢুকি’’
উভয় সংকটে পড়ে দ্বার দিলাম খুলি
ঘরের ভেতরে বেঁধে গেল চুলাচুলি।
তবে কঠোর সত্যকে দ্বার বন্ধ করে দিয়েও যেমন আটকে রাখা যায় না তেমনি চাদরে ঢেকে দিয়েও চেপে রাখা যায় না। বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিবাদীরা ধর্মের নাম বিশেষ করে ইসলামের নাম মুখে আনতেও শরমিন্দা বোধ করেন। এরা নিজেদের মুসলমান বলতেও আড়ষ্টতা বোধ করেন। বাংলাদেশের রেডিও-টেলিভিশনে, বিশেষ করে টেলিভিশনে ইসলামী সঙ্গীত বলতে গেলে শোনাই যায় না। মুসলমানদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে মহিমান্বিত করে কোনো লেখা বা সম্প্রচার তেমন একটা চোখে পড়ে না। অথচ হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এমনকি আইটেম গানেও ইসলাসী গান শোনা যায়।
কয়দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের জিটিভি বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সারে গা মা পা’র গ্র্যান্ড ফিনালে হয়ে গেল। সাত মাস ধরে অনুষ্ঠানটি চলেছিল। সেখানেও মুসলমান এবং ইসলামের মহিমা কীর্তন করে অনেক গান পরিবেশিত হয়েছে।
॥ দুই ॥
কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, কেউ যদি কোনো পরিসংখ্যানের কথা বলতে গিয়ে বলেন, অমুক জায়গায় এত শতাংশ হিন্দু, আর এত শতাংশ মুসলমান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এসব সেক্যুলারিস্ট চিৎকার করে বলেন, ওই লোকটি বা ওরা সাম্প্রদায়িক। কিন্তু ওদের কাছে আমার প্রশ্ন, এ ধরনের কথা যদি একজন হিন্দু বলেন, তাহলে ওরা কি সেভাবেই চিৎকার করে উঠবেন? আর ওই হিন্দুটি যদি হন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেন তাহলে তারা কী বলবেন? তাকে সাম্প্রদায়িক বলার হিম্মত কি ওদের হবে? কিন্তু কঠিন সত্য হলো এই যে, অমর্ত্য সেনের মতো দুনিয়া কাঁপানো অর্থনীতিবিদরাও ক্ষেত্রবিশেষে সেভাবেই কথা বলেছেন। বিশ^াস না হয়, নিচে প্রমাণ দিচ্ছি।
পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের হালহকিকত নিয়ে ‘দৈনিক প্রথম আলোতে’ গত রবিবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি একটি নিবন্ধ বেরিয়েছে। নিবন্ধটির শিরোনাম ‘পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি’। লেখক রজত রায়। ওই নিবন্ধে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেনের একটি ছবিও ছাপা হয়েছে।
নিবন্ধটি শুরু হয়েছে এভাবে, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলমান, তাই রাজ্য রাজনীতিতে মুসলমানদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের দলে ভেড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাটানিও অব্যাহত। ভোটের রাজনীতির অঙ্ক সম্পর্কে যারা মোটামুটি ওয়াকিবহাল, তারা জানেন যে মুসলমানদের সমর্থন পেলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটযুদ্ধে জেতা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বামফ্রন্টের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের একটা বড় অংশের সমর্থন তাদের দিকে ছিল। কিন্তু ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সংখ্যালঘুরা বামফ্রন্টের দিক থেকে যেই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকে পড়ল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরপর জয় পেতে শুরু করলেন।
সাধারণ হিসাবে, এতে যখন যে রাজনৈতিক দলই লাভবান হোক না কেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের লাভ হওয়া উচিত ছিল সর্বাধিক। শিক্ষায়, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখে মুসলমানদের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছরের ব্যবধানে বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচারের প্রতিবেদন ও অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। তাদের অবস্থার এতটুকু উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ প্রতিবেদনের চিত্রটা এ রকম : পশ্চিমবঙ্গে যেখানে গড়পড়তা প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য ১০ দশমিক ৬টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে, সেখানে মুসলমান প্রধান তিন জেলা মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে এই হার যথাক্রমে মাত্র ৭ দশমিক ২, ৮ দশমিক ৫ ও ৬ দশমিক ২। ৬ থেকে ১৪ বছরের মুসলমান ছেলেমেয়েদের ১৫ শতাংশই স্কুলে যায় না। তাদের মধ্যে ৯ দশমিক ১ শতাংশ স্কুলে ভর্তিই হয়নি আর বাকিরা ভর্তি হলেও পরে ঝরে পড়েছে। তাদের এক-তৃতীয়াংশ মনে করে, স্কুলে গিয়ে তাদের আখেরে কোনো লাভ হবে না।
বড়দের অবস্থাও শোচনীয়। গ্রামবাংলার মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়মিত বেতনের চাকরি করছেন। সরকারি ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১ শতাংশ। অন্তত ১৩ দশমিক ২ শতাংশ মুসলমানের ভোট দেওয়ার জন্য আবশ্যিক পরিচয়পত্র নেই। ১২ দশমিক ২ শতাংশ মুসলমান পরিবারের বাড়ি পয়ঃপ্রণালির সঙ্গে যুক্ত নয়, যদিও রাজ্যে গড়ে ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িতে তা আছে। আর্থিক উন্নতির সঙ্গে তাল রেখে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার ক্ষেত্রেও মুসলমানরা পিছিয়ে। গোটা রাজ্যে যেখানে এই হার গড়ে ৩২ শতাংশ, সেই জায়গায় মুসলমানদের ক্ষেত্রে মাত্র ১৯ শতাংশ।
॥ তিন ॥
মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গের মোট জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের উন্নতির দিকটি বারবার অবহেলিত হচ্ছে কেন? বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরীর মতো অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, এর পেছনে মুসলমান সম্প্রদায় সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর (দলমত-নির্বিশেষে) দীর্ঘদিনের লালিত কিছু ধারণা কাজ করছে। যেমন : এক. মুসলমান সমাজের মধ্যে কোনো স্তর ভেদ বা বিভাজন নেই। তারা সবাই মোটামুটি একভাবে চিন্তা করে। দুই. মুসলমান সমাজের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করেন মৌলভীরা। ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে মুসলমানরা তাদের মৌলভীদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে থাকেন।
এই ধারণাগুলো যে ঠিক নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখা যায়, মুসলমান সমাজ কখনই একভাবে কোনো নির্দিষ্ট দিকে ভোট দেয়নি। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের রাজত্বকালে দক্ষিণবঙ্গে মুসলমানরা বেশি সংখ্যায় বামপন্থিদের ভোট দিলেও মুর্শিদাবাদ ও উত্তরবঙ্গের দুই মুসলমান প্রধান জেলা মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের পাশে থেকেছে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে দক্ষিণবঙ্গে মুসলমানরা বামপন্থিদের কাছ থেকে সরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে সমর্থন করলেও ওই তিন জেলায় কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য থেকে সরে আসেনি।
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানদের অবস্থান সম্পর্কে হিন্দুদের লেখাতেই একটি পরিষ্কার চিত্র পাই। এ ছাড়া তারা জনসংখ্যা সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য প্রদান করেন। কোনো তথ্য পরিবেশন করতে তারা কুণ্ঠিত নন। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের উদার পরিবেশ বিরাজমান নেই। এখানে মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ হিন্দু, কত শতাংশ মুসলমান, কত শতাংশ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানÑ এ সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান সহজে পাওয়া যায় না। পরিসংখ্যান প্রদানের ব্যাপারে কেন এই লুকোচুরি খেলা? অতীতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর বইপুস্তকে জনসংখ্যা সম্পর্কে যেখানে তথ্য দেওয়া হতো সেখানে আগে একটি সাব হেডিং দেওয়া থাকত। সাব হেডিংটির শিরোনাম ছিল, Religious distribution of population A_ev Religious distribution of demography অর্থাৎ জনসংখ্যার ধর্মীয় বণ্টন। এখন সেটি পাওয়া যায় না। কলকাতায় গেলে কোনো অফিসে বা ডিপার্টমেন্টে জিজ্ঞাসা করা যায়, আপনার বিভাগে কতজন মুসলমান আছে? আপনাকে তারা নামধামসহ সংখ্যালঘু মুসলমানদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেবে।
এ কাজটি কি বাংলাদেশে করা সম্ভব? অতদূর যাওয়া তো দূরের কথা, আপনি কোনো বিভাগে গিয়ে কতজন হিন্দু আছে সেটি জানতে চাইলে আপনার ওপর সংশ্লিষ্ট অফিসের বড় কর্তারা তেলেবেগুনে জে¦লে উঠবেন। যাই হোক, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যে তথ্য পাওয়া গেল তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ২০১২ সালে হিন্দু জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮.৫ শতাংশ। সারা ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪.০২ শতাংশ। ২০১১ সালের আদম শুমারি মোতাবেক সারা ভারতের জনসংখ্যা ১২২ কোটি। সেই হিসাবে মুসলমানদের সংখ্যা ১৭ কোটি ৩২ লাখ। ওই আদম শুমারি মোতাবেক পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লাখ। মুসলিম জনসংখ্যা ২৮ শতাংশ, অর্থাৎ ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০১৫ সালে ১৬ কোটি। হিন্দু জনসংখ্যা ৮.৫ শতাংশ। সেই হিসাবে হিন্দু জনসংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ।
বাংলাদেশের ৮.৫ শতাংশ হিন্দু ভাইয়েরা কেমন আছেন, কী অবস্থায় আছেন, চাকরি-বাকরি ব্যবসা-বাণিজ্যে কেমন আছেন, বাংলাদেশের মানুষ তার কিছুই জানে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ২৮ শতাংশ মুসলমান কেমন আছেন সেটি কিন্তু আমাদেরকে স্বয়ং অমর্ত্য সেনই জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের অবস্থা কি জানা যাবে? না কি জানতে চাইলে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকের সিলমোহর পিঠে এঁটে দেওয়া হবে?
journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন