সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যাত্রীদের ভরসা কেবল বাঁশের সাঁকো

চরভদ্রাসনে ড্রেজিং হয়নি গোপালপুর লঞ্চঘাট

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপু-মৈনট লঞ্চঘাট পয়েন্টের ২ কি.মি. চরাঞ্চল এলাকা চলতি শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত এক মাস আগে গোপালপুর ঘাট সংলগ্ন জলমহালটি ড্রেজিং করার জোর দাবি উঠে আসলেও সংশ্লিষ্টদের অনীহা ও গাফেলাতিতে সম্পন্ন হয়নি ঘাটের খনন কার্য। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে ২ কি.মি. পদ্মার চর পায়ে হেঁটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী। গোপালপুর ঘাট সংলগ্ন প্রায় অর্ধকি.মি. জলমহালের উপর ২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এরপর প্রায় দেড় কি.মি. বালুর চর পায়ে হেঁটে পদ্মা নদীর মাঝ পয়েন্ট থেকে ট্রলার ও স্পিড বোটে উঠছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। জানা যায়, গোপালপু-মৈনট ঘাটের ইজাদার নূরুল ইসলাম পাটনী ১৪২৩ সনের জন্য ৩ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নেন। এ নৌরুটের মধ্যে উপজেলা সদরে রয়েছে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট। আর পদ্মা নদীর অপর পাড়ে দোহার উপজেলার সীমানা ঘেঁষে রয়েছে উপজেলার পদ্মা নদীর মৈনট ঘাট পয়েন্টে। এ নৌরুটে মাত্র ২০ মিনিটে স্পিড বোটে পদ্মা নদী পাড় হয়ে অপর পাড়ের দোহার উপজেলার কার্তিকপুর বাসস্টান্ড থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছতে পারেন যাত্রীরা। তাই আশপাশের নগরকান্দা, সদরপুর ও ভাঙ্গাসহ অত্র উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন এ নৌরুটে। কিন্ত এ বছর বর্ষা মৌসুমে গোপালপুর ঘাটের পাড় এলাকায় বালুমাটির চর পড়ে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। গত এক মাস আগে এলাকাবাসী ঘাটটি ড্রেজিংয়ের জন্য জোর দাবি করলেও ড্রেজিং হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তি ও চরম ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে প্রায় ২ কি.মি. বালুচর হেঁটে চলেছেন যাত্রীরা। ঢাকাগামী যাত্রীদের হাতের বোঝা বহন করতে তারা আরও বিপাকে পড়ছেন। সোমবার ঘাট ইজারাদাররা জানান, “গত ক’দিন ধরে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ে যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাতে এ নৌরুটে যাত্রী চলাচল অনেক কমে গেছে। তারা আরও জানান, প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা দিয়ে ঘাট নিয়ে এ বছর অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে”। গত সোমবার পদ্মা পার হয়ে আসা অনেক যাত্রীর মধ্যে শারমিন আক্তার (২৮) নামক এক যাত্রী জানান, “নিজের বোঝা ও কোলের শিশু নিয়ে ২ কি.মি. পদ্মার চর হেঁটে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এ ঘাট দিয়ে আর ঢাকা যাতায়াত করবো না”।  উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরী বলেন, “গোপালপুর-মৈনট ঘাটটি আন্তঃজেলা ঘাট হওয়ায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাই ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। জনচলাচলের জন্য আমরা শুধু বাঁশের সাঁকো নির্মাণে সহায়তা করেছি”।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন