কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে অপহরণের ১৯ দিন পরে শরীয়তপুরের নড়িয়া এলাকা থেকে ৪ বছরের শিশু সিফাতকে উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। সিফাতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার উত্তর পাতারচর গ্রামে। গত বুধবার গভীর রাতে শিশুটকে উদ্ধার করা হয় এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আলমগীর ইসলাম রাজু শেখ (৩৭), মোঃ জাকির শেখ (২৭) মোঃ আওলাদ শেখ (২৫), মোঃ ইমরান শেখ (২২), আসমা বেগম (৩০) ও ডলি বেগম (৩০)। জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সকালে দক্ষিণ মান্দাইল তাদের বাসার পাশে মাঠে খেলা করার সময় সিফাত নিখোঁজ হয়। পরদিন এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মোঃ জামাল বেপারী বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। প্রথমে ঘটনটি নিখোঁজ বলে ভাবা হলেও গত ১৬ জানুয়ারি মুঠোফোনে শিশুটির মায়ের কাছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এই ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে এতে শিশুটি অপহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ নিখোঁজ জিডিটি অপহরণ মামলা করেন। পরে শিশুটির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ৫৩ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে অপহরণকারীদের প্রদান করে। দক্ষিণ মান্দাইল এলাকায় পাপ্পু মিয়ার ভাড়া বাড়ীতে সিফাত তার পরিবারের সাথে থাকতো। অপহরণকারী মোঃ আলমগীর একই বাড়ীতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ভাড়া থাকতো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই বিজন কুমার দাস জানান, যে নাম্বারে বিকাশ করে মুক্তিপণ দেয়া হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায় সেটা ডলি নামে এক মহিলার নামে রয়েছে। রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতার করার পর ওই মহিলার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপহরণের মূলহোতা মোঃ আলমগীরকে দক্ষিণ মান্দাইলতার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, বুধবার গভীর রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানাধীন আনাখন্ড গ্রামে আলমগীরের নিজ বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আলমগীরের প্রথম স্ত্রী আসমা বেগমের হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আলমগীরের স্ত্রী আসমা বেগম, তার ভাই জাকির শেখ, আওলাদ শেখ ও ইমরান শেখকে। ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর। আলমগীর মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করেছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন