ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ভিক্ষা করার শক্তি নেই। ঠিক মতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না শ্রীমতি সোহাগী রানী। তারপরও একমুঠো ভাতের জন্য ছুটতে হয় গ্রাম থেকে শহরে। বয়সের ভারে কাবু সোহাগীর মৃত্যু যখন কড়া নাড়ছে দরজায়, তখন নিত্যযুদ্ধ পেটের খোরাক জোগার করতে। তবে কোনো কোনো দিন না খেয়েও দিন পার করেন তিনি। শ্রীমতি সোহাগী রানীর বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অমুল্য কুমারের স্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের আগেই সোহাগী রানী বিধবা হন বলে জানালেন। দুই ছেলে ক্ষিতিশ ও সুশান্ত জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাবের সংসারে যেন সোহাগী রানী বোঝার মতো। ছেলেদের সংসার ঠিকমতো না চলার কারণে তিনি এই বৃদ্ধ বয়সে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ান। সোহাগী রানীর বয়সের কারণে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না। লম্বা দীর্ঘদেহী এই নারী এখন হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটেন। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে জানালেন, তার বয়স এখন একশ ছুঁই ছুঁই। বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কোনটাই তিনি পান না। বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত নেতা আর জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেও কথা আমার রাখেনি। আক্ষেপ করে সোহাগী জানালেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের তালিকায়ও তার নাম ওঠেনি। কত মানুষকে অনুনয়-বিনয় করলাম একটা কার্ডের জন্য। কেও আমার কথা শোনেনি। ঝিনাইদহ শহরের আলম বিপণির সামনে সোহাগী রানী মাথা গুজে বসে ছিলেন সাহায্যের জন্য। সেখানেই কথা হয় তার সাথে। মেসার্স আলম বিপণির মালিক শওকত মিয়া জানান, সোহাগী রানী খুব অসহায় একজন মহিলা। তার বয়স ৯৫ বছর। এই বয়সে যদি তিনি সরকারি সাহায্য না পান, তবে অন্যায় করা হবে। সোহাগী রানীকে কেও সাহায্য বা বিকাশ করতে চাইলে আলম বিপণির ফোন নাম্বারে ০১৭১১-৪৭৯৩২৩ যোগাযোগ করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন