রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা যুবসমাজকে কুরআনের আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান করেছেন

রাউজানে এশায়াত মাহফিলে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ্

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা : কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী বলেছেন, কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, এ যুগের যুবসমাজকে সুন্নাতে মোস্তফা যেমন দাঁড়ি, মিসওয়াক, তাহাজ্জুদ নামাজ, মোরাকাবা, তিলাওয়াতে কুরআনের আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান করেছেন। তিনি তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েব ও বিল হাজের প্রদান করে তাদের নফসকে পরিশুদ্ধ করে তুলেছেন, যার ফলে তারা নামাজ, রোজা, তাসবীহ তাহলিল, দরূদে মোস্তফা আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে আখলাকে মোস্তফা (দ.) দ্বারা রঞ্জিত করেছে। নিয়মিত এক হাজার ১১১ বার দরূদে মোস্তফা পাঠ করে নিজেদের খাঁটি সুন্নি হিসেবে গড়ে তুলেছে। শক্তি দিয়ে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রিয় নবীজি (দ.) এর আদর্শকে মুসলিম সমাজে পুনর্জীবিত করার জন্য। নিভৃত পল্লীতে বসে রূহানী শক্তি দিয়ে তিনি সুন্নীয়তকে মধ্যপ্রাচ্যসহ সমগ্র বিশ্বের জমিনে বিস্তৃত করেছেন। গঠন করেছেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ। তিনি সুন্নীয়তকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন সুন্নি মতাদর্শভিত্তিক অনেক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
তিনি গতকাল শুক্রবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও ফাতিহা-ই ইয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল, হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর স্মরণে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১নং উত্তর রাউজান শাখার উদ্যোগে রাউজান আদালত ভবন চত্বরে আয়োজিত বিশাল এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার নবীপ্রেমিক মুসলমানের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
রাউজান আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলহাজ সৈয়দ গোলাম সরোয়ার এর সভাপতিত্বে মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া, উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা জাফর আহমদ ছিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মো আমির হোসেন ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১২ এএম says : 0
সর্ব প্রথম আল্লাহর প্রসংসা। যিনি অসিম দয়ালু ও প্রঞ্জাবান।দুরুদ ও সালাম নবী (সঃ) এর উপর।পরম শ্রদ্ধা ও আল্লাহর অশেষ দয়া কামনা করি কাগোতিয়া দরবার শরীফের মরহুম পীর সাহেব হুজুর (রঃ)এর জন্য। আল্লাহ তায়ালা যেন তাহার সারা জীবনের আমল ওপরিশ্রম কে কবুল করেন।আমিন।
Total Reply(0)
মো আমির হোসেন ২৬ জুলাই, ২০২২, ৬:২৬ এএম says : 0
আমি ১৯৯০/৯১ সাল হতে কাগোতিয়া দরবার এ যাতায়াত করি। বর্তমান পিরসাহেব তখন ছাত্র। দেবীদ্বার দামতি মাদ্রাসা থেকে আলিম অথবা ফাজিল পরীক্ষা দিছ্ছেন।তখন ও মরহুম পির সাহেব হুজুর সুস্থ। হেঁটে হেঁটে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যেতেন।আমরা তাহার পিছনে পিছনে যেতাম। শ্রদ্ধা এবং সন্মানে তাহার প্রতি ভালবাসা এমনই ছিল যে নবী (সঃ) এর যুগের মত।দুনিয়ার কোন লোভ লালসা তাহার মধ্যে ছিল না। মানুষ কে কিভাবে তরিকতের রাস্তায় এনে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূল সঃ এর মহব্বত অন্তরে সৃষ্টি করাই ছিল তাঁহার উদ্দেশ্য। দুনিয়ার কোন তাগুতি শক্তির নিকট পদলেহন বা তোষামোদ এই দরবারে স্থান পেত না।বরং বাতিল শক্তি গুলো তাহাঁর দরবারে আত্মসমর্পণ করত। আর এখন উল্টো। দরবার দৌড়ায় খ্মতাসিনদের দরবারে। কারন একটা ই। আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিব (সঃ) ও তাঁর সাহাবা(রাঃ)গনের সানে বেয়াদবি পছন্দ করেন না। সাথে সাথে ব্যবস্তা নেন এবং নিয়েছেন ও।।কি দরকার ছিল তাঁহার নামের শেষে (রাঃ) শব্দ টি শংযোজন করা,তাহার দরবার টি মদিনার আদলে রংগায়িত করা,অতি উৎসাহী কিছু মুর্খ আলেমদের দ্বারা,, ক্ষমতাশাীল কিছু ব্যক্তিদের দ্বারা বিভিন্ন এশায়েত মাহফিলের জৌলুশ পূর্ণ আয়োজন, মুরিদ সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন আল্লাহর নিকট একেবারে ই অপছন্দ। আমার মনে হয় খালিছ অন্তরে তওবা করে সকল অনুসারীরা দোয়ায় মগ্ন হলে এই দরবারটি আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন