ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলু তুলছেন কৃষকরা। গত বছর আলুর ফলন ভাল হওয়ায় এবং দাম ভাল পাওয়ায় ভবিষ্যতের আশায় এবছরও কৃষকরা আগাম আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। সরেজমিনে উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ কোলকোন্দ, মন্থনা, চেংমারী, পাইকান কুঠিরপাড়, ইশোরকুল, গান্নারপাড়, কচুয়া ফকিরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা অনেকে আলু তুলছে। কেউ কেউ জমিতে আলুর বস্তা ভর্তি করে পাইকারী দরে বিক্রিয় করছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। চেংমারী কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক আতাউর, মন্টু, সোলায়মান, মাসুদ, বাদশা তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাল লাভের আশায় গতবারের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে আলু লাগিয়েছি। গত বছর আগাম আলু চাষ করে মুনাফা হয়েছিল। কৃষক হুমায়ুন কবীর আরো জানান, ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এসব আলু উঠে। বাজারে এখন আলু কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা হওয়ার কথা সেখানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা। এতে কৃষকের লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হচ্ছে। ঐ এলাকার কৃষক আতাউর ২২ শতক, সোলায়মান ৩৩ শতক জমিতে আলু লাগিয়েছেন। কিন্তু আলুর দাম না হওয়ায় তোলার বয়স বাড়লেও দাম না বাড়ায় হতাশায় ভোগছেন কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবছর তিস্তার চরাঞ্চলসহ ৫ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের আগাম আলু চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়লে বর্তমানে আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন