রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পদ্মা সেতুর অধিগ্রহণকৃত জমিতে ৬০ চারায় ৪শ’ গাছের বিল

সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : জাজিরা উপজেলার ১০১ নাওডোবা মৌজার ৪০৯৮ নং দাগের প্রায় ১০শতাংশ জমিতে ৬০টি মেহগনির গাছের চারা লাগিয়ে ৪শ’ গাছের বিল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নাওডোবা মৌজার শাহা আলমের বাড়ির সামনে নাওডোবা ইউনিয়নের সাকিম আলী মলাঙ্গিকান্দি গ্রামের হাজী হামেদ শেখের ছেলে লুৎফর শেখের আনুমানিক ১০ শতাংশ জমি। যা সরকার সেতু প্রকল্পের অধিগ্রহণের জন্য পত্র জারি করার সংবাদ পেয়ে লুৎফর দ্রুত ৫০/৬০টি  মেহগনি গাছের চারা রোপণ করে। পরে জরিপকালে স্থানীয় দালাল ও সার্ভেয়ারের সহযোগিতায় ঐ জমিতে ৪শ’ গাছ দেখিয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়। যার এল.এ কেইচ নং- ০৮/২০১৫-২০১৬। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি বাদশা মিয়া শেখ বলেন, আমার জানামতে এই জমির গাছের বিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যদি ৪শ’ গাছও হয়ে থাকে তাহলে পাটখড়ির সমান মোটা এক একটি গাছের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭শত ৫০ টাকা। একে পুকুর চুরি না সাগর চুরি বলা চলে। তৎকালীন জরিপকারী কাননগো আবুল হোসেন জানান, আমার কাছে ভিডিও প্রতিবেদনসহ অন্যান্য প্রমাণাদি আছে যার ভিত্তিতে আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। এত অল্প জমিতে এত গাছের চারা রোপণ সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি জনান চাপিয়ে চাপিয়ে লাগিয়েছে। বর্তমান সার্ভেয়ার মহিউদ্দিনের সাথে এ বিষয় যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বন বিভাগ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর আমাদের কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার ভিত্তিতেই আমরা বিল প্রস্তুত করেছি। এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নাই। জমির পাশের বাড়ির মালিক শাহ আলমের স্ত্রী আজিতন নেছা বেগম বলেন, আমরা গত ২/৩ বছর হলো এখানে বাড়ি করেছি তার অনেক পরে এ জমিতে গাছের চারা লাগিয়েছে। পরে লোকজন এসে গুনে গেছে তার পর কি হয়েছে বলতে পারবো না। তিনি নিজে গুনে জানালেন বর্তমানে ৫৩টি গাছ আছে। চেয়ারম্যান কান্দি গ্রামে আয়নাল হক ফকির (৬৫) বলেন আমাদের এলাকায় এ ধরনের সুযোগ অনেকেই নিয়েছে। স্থানীয় দালালরা যোগাযোগ করে টাকা উঠিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল ফকির (৪০) বলেন, লুৎফরের সাথে স্থানীয় আরো ৩/৪ জন মিলে অবৈধভাবে সরকারের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করিয়েছে। এই বিষয়টি কেউ কোন দিনই জানতে পারতো না। জমির মালিক ও দালালদের সাথে ভাগবাটোয়ারা মতো বিরোধ দেখা দেয়ায় বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যায়। এতে কিছুই হবে না, সবই আবার ঠিক হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে জমির মালিক লুৎফর জানান, আমি ১৫ কাঠা জমি কিনে তাতে গাছ লাগিয়েছি। জরিপকারী প্রতিবেদক দল গুনে গুনে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এখানে আমি কাউকে কোন সুবিধা দেয়নি। বিল কত টাকা পাবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রায় ২৬ থেকে ২৭ লাখ টাকা হবে। এছাড়া আমার সাথে কোন দালালচক্র বা দ্বিতীয় পক্ষও নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন