চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা : চরফ্যাশন উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের টাকা দাখিল করার জন্য গত সোমবার ছিল শেষ দিন। ইউপির চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যগণের কাছ থেকে নির্বাচন অফিসের কয়েকজন স্টাফ ও কম্পিউটারের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির মাধ্যমে ৩৬১টি ফরম বিতরণে ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একাধিক প্রার্থীদের অভিযোগ, অফিসের ফরম বিতরণের সময় নেয়া হয় ১ হাজার টাকা, কম্পিউটারে ন্যাশনাল আইডির একটি নম্বার দিয়ে প্রার্থী ও ২ সমর্থকদের কাছ থেকে নেয়া হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। আবার ফরম পূরণের নামে নেয়া হয় ৪-৫শ’ টাকা। চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়টা আলাদা। একজন সাধারণ সদস্য গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নির্বাচন অফিসে দেয়া হয়। এই জন্যে নির্বাচন অফিসে রয়েছে কয়েকজন দালাল চক্র। এ সকল দালালের মাধ্যমে টাকা কালেকশন করা হয়। চরমানিকার জনৈক প্রাথী জানান, আমার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটার থেকে এনআইডি বের করার নামে ১ হাজার টাকা নিয়েছে। লিখতে নেয়া হয়েছে ৫শ’ টাকা এই ভাবে তার মোট ফরমসহ আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এওয়াজপুরের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী অভিযোগ করেন, নির্বাচন অফিসের সাদ্দামের কাছে আইডি লেখার নামে ১ হাজার টাকা নিয়েছে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় সে বলে টাকা দিতে কষ্ট হয় রাতের আধারে এসে আমাদের পা ধরতে হবে। কারণ আপনি মেম্বার প্রার্থী। এইভাবে সাধারণ প্রার্থীদেরকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়অ গেছে। রিটানিং অফিসার কৃষি অফিস হলেও দালাল কালাম নামে ব্যক্তি জনৈক প্রার্থীর কাছ থেকে ১হাজার টাকা নিয়ে আবার প্রতীক তালগাছ পেতে হলে ওই প্রার্থীর কাছে ৫হাজার টাকা দাবী করেছে। নির্বাচন অফিসের টাকা বিহীন ওই সকল দালাল চক্র কোন কাজ করেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একাধিক প্রার্থীদের অভিযোগ ভাই আমাদের নাম বলবেন না, বললে মানোনয় যাছাই-বাছাইয়ের দিন আমার মনোনয়ন বাতিল করে দিবে। একাধিক প্রার্থীর বক্তব্য এ প্রতিনিধির কাছে রেকর্ড সংরক্ষিত। এছাড়াও নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার (বহিরাগত) সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রার্থীদেরকে হুমকী দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, আমার ষ্টাপ মাত্র একজন সকলকে নিয়ে আমি কাজ করতে হয়। কারা টাকা নিয়েছে তা আমি জানি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন