রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দুই স্থানে অগ্নিকান্ডে ১১ দোকান ও ৩০ বসতঘর ভস্মীভূত

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : দেশের দুই স্থানে অগ্নিকান্ডে ১১ দোকান ও ৩০ ঘর ভস্মীভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সুন্দরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৮ পরিবারের ১৭টি টিনশেড ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ (ধাপাচিলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ির লোকজন মসজিদে গেলে প্রথমে ইয়াছিন আলীর পুত্র তাজরুলের ঘরে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাজরুলের ভাই জাহেদুল ও একই পাড়ার নুরুল ইসলাম, আলম মিয়া, ছায়েদ আলী, ছাত্তার মিয়া, আব্দুল আজিজ ও সাহেরা বেগমের ১৭টি টিনশেড ঘর ভস্মীভূত হয়। সেই সাথে দুইটি ছাগল ও অর্ধশতাধিক হাঁস-মুরগি ভস্মীভূত হয়। এ সময় এলাকার হাজার হাজার লোক আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাইবান্ধা দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে ৮ পরিবারের ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা, ধান-চাল, কাপড়- চোপড়সহ সব কিছুই পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে ৩০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাজেদা বেগম ও সদস্য আলতাফ হোসেন সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী ও ইউপি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকা-ের শিকার প্রত্যেক পরিবারকে ২ হাজার করে টাকা, ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়। পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে ইউএনও এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ প্রত্যেক পরিবারকে ২ হাজার করে টাকা, ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৩টি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, নগরীর হালিশহরে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে ১১টি দোকান ও ১৩টি কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে হালিশহরের এ ব্লক বাস স্টেশন এলাকায় স্থানীয় সিরাজুল আমিনের মালিকানাধীন দোকান ও ঘরগুলোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বন্দর ও আগ্রাবাদ স্টেশনের চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুড়ে যাওয়া কাঁচাপাকা দোকানগুলোর মধ্যে পাঁচটি মুদি, দুটি ওষুধ ও দুটি চায়ের দোকান, একটি কামারের দোকান এবং সাইকেল যন্ত্রাংশ ও টায়ার টিউবের একটি দোকান রয়েছে। অগ্নিকা-ে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দোকান ও ঘরের মালামাল পুড়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন