পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের প্রয়াত ডা. সুলতানউদ্দিন আহমেদ ৪৬ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বেলাইচন্ডি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। পিতার নাম মরহুম নবরউদ্দিন। ৫৮ বছর বয়সে ১৯৯৩ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। সূত্রমতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পার্বতীপুরের অদূরে আমবাড়ী সংলগ্ন জলপাইতলী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর যান ডা. সুলতানউদ্দিন। সেখানকার পতিরাম ও কাটলা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে থেকে আগত যুবকদের ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তবে দুঃখজনক স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এতদিনেও তার মূল্যায়ন ও নাম তালিকাভুক্ত করেনি। এমনকি তার অসহায় পরিবারের কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দীর্ঘদিন পরে গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। সরকারের এই ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে মরহুমের বড় ছেলে ফরহাদুজ্জামান বুলু পিতাকে সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা চলমান যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতির দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন