চট্টগ্রাম ব্যুরো : শহুরে পরিবেশে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল সাজে থরে থরে পিঠা-পুলির মৌ মৌ গন্ধ। স্বাদ ও গন্ধে পুরো প্রেস ক্লাব হলজুড়ে মন রাঙানো উৎসব। ফুলঝুরি, সুজির রসমঞ্জুরী, ডিমের ঝুড়ি, হাতঝারা পিঠা, বিবিখানা, গোলাপ পিঠা, পাক্কন পিঠা, বকুল ফুলের মতো বাহারি পিঠার সমাহার।
গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাব-ওয়েল ফুড পিঠা উৎসবের চিত্র ছিল এমনই। সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রতি বছর পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রেস ক্লাব বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য লালন করে চলেছে। তিনি পিঠা উৎসব আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস, উৎসব উদযাপন কমিটির আহŸায়ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার এবং কার্যকরী সদস্য শহীদ উল আলম।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ-সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক রোকসারুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম ও হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
প্রেস ক্লাবের প্রায় ২৭ জন সদস্যের সহধর্মিণী পিঠা উৎসবে অংশ নেন। বাহারি পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আতিক্কা পিঠা, হৃদয় হরণ, ছাইন্না পিঠা, চিংড়ি পুলি, কিমা ভাঁপা, সব্জিরোল, চিরুণী, ডালের নকশি, হাতের বানানো গুঁড়া পিঠা, বিন্নি চালের কলা পাতার পিঠা, দুধপুলি, নারকেল বরফি বাহার, আলুর রস ডোবা মালাই গজা, সাগুদানা, নুনচিয়া, ভেজিটেবল কাটলেট, পুডিং, অন্থন, গাজর পাকন, দুধ চিতই, ত্রিভূজা চিকেন, রসে ভরা প্যাঁচ পিঠা, মুগ পাকন, পান্ডোয়া, ফুলঝুরি, মাল পোয়া, সুজির রসমঞ্জুরী, ডিমের ঝুরি, হাতঝারা পিঠা, বিবিখানা, গোলাপ পিঠা, পাক্কন পিঠা, বকুলফুল উল্লেখযোগ্য।
পিঠা উৎসবে বিচারক ছিলেন হারু বিশ্বাস, শাহেদুল ইসলাম এবং আফরোজা সুলতানা পুতুল। পিঠা উৎসবে বিচারকদের বিচারে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন মিসেস নূর জাহান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে জেসমিন আক্তার ডলি ও মুক্তি খানম, যুগ্মভাবে চতুর্থ রুমা জসিম চৌধুরী এবং সীমা আলম।
উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রান্নাবিষয়ক আড্ডা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরণ করেন ওয়েল গ্রæপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং ওয়েল গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমুর সহধর্মিণী নারী উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন