দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের ভেলুরচক গ্রামে শুক্রবার রাতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় দোকান ভাঙচুর সহ খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার ভেলুরচক বায়তুল ফাতাহ্ জামে মসজিদের আয়োজনে মরহুম সাদেক আলীর চাতালে তাফসিরুল কোরআন মাহ্ফিল এর আয়োজন করা হয়। উক্ত মাহ্ফিল চলাকালীন পাশর্^বর্তী পলিপাড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক তাফসিরুল কোরআন মাহ্ফিল শুনতে আসে। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পলিপাড়া থেকে আসা জনৈক এক যুবকের সাথে ভেলুরচক গ্রামের এক যুবকের কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় মারামারির সাথে দুই গ্রামবাসী জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রামের ৭ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পলিপাড়ার মৃত রইচ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম, তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র আতাউল, হবিবর রহমান খানের পুত্র উজ্জল, ভেলুরচক গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র মুক্তার হোসেনকে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আব্দুর রহমান ফকিরের পুত্র হালিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায় কে বা কাহারা ভেলুরচক গ্রামের খোরশেদ আলীর পুত্র আনছার আলীর মুদির দোকান ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর খড়ির পালায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মুঠোফোনে খবর পেয়ে রাতেই ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে যান। পূর্বের কোন একটি ঘটনায় পলিপাড়ার দাখিলী পাস জনৈক যুবকের সাথে ভেলুরচক গ্রামের রাজমিস্ত্রীর বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। যা স্থানীয় ভাবে বৈঠক করে মীমাংসিত হয়েছিল। ওরই জের ধরে পুনরায় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন