রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পানি সংকটে বোরো উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

চাঁদপুর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে পানি সেচের কার্যক্রম শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে। মাস শেষ হলেও প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ কৃষক বোরো আবাদের জন্য এখনো পানি পাননি। সঠিক সময়ে পানি না দেয়ায় বোরো উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দিয়েছে। মতলব উত্তর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে অধিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৭৯-৮০ সালে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এর কাজ শেষ হয়। সেচ সুবিধার মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদনই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বোরো আবাদ মৌসুমের শুরুতে সেচ সুবিধা না পাওয়ায় অধিকাংশ মৌসুমে বোরো উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জন করতে পারেনি এ সেচ প্রকল্পটি। কৃষিবিদরা জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বীজতলা করার উপযুক্ত সময়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে হয়। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপণ করতে হবে। ৪০ দিনের পর চারার বয়স বাড়তে থাকলে ক্রমেই উৎপাদন কমতে থাকবে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ২শ’ হেক্টরে। কৃষক এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে বসে আছে। এখন পর্যন্ত কৃষক পানি সেচ পাননি এমন কথা জানালেন, হানিরপাড় গ্রামের কৃষক ছানা উল্লাহ ও মিলারচর গ্রামের হাবু মেম্বার। চারার বয়স দিন দিন বেড়ে চলছে। অনেকের চারার বয়স ৬০ দিন পার হয়ে গেছে। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপণ করতে হয়। তা না হলে উপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমতে থাকে। সঠিক সময়ে পানি না পাওয়ায় বোরো উৎপাদনে বিপর্যের আশঙ্কা করছেন কৃষক। ১ জানুয়ারি উদ্দমদি ও কালিপুর পাম্প হাউজের মাধ্যমে পানি সেচের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন হলেও এখনো বোরো রোপণ করা হয়নি দশভাগ জমিতে। পানি সঠিক সময় না পাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। কৃষকরা জানান, ‘পানি ছাড়ার কথা শুনেছি, কিন্তু পানি এখনো ক্যানেলগুলোতে আসেনি। পানির জন্য আমরা জমিতে ধান লাগাতে পারছি না।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, এখন তারা পাম্পের মাধ্যমে দিনে পানি দিচ্ছে ২ ঘণ্টা। এভাবে পানি দিলে বোরো আবাদে সমস্যা হবে। পুরোদমে পানি দিলে তেমন সমস্যা হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন জানান, পানি সেচের উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্যানেলগুলোতে ব্রিজ ও কালভার্ট হওয়ার কারণে পানি সেচ দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এখন পানি পুরোদমে দেয়া হবে। পানি সমস্যা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূইয়া জানান, এরকম সমস্যা আমাদের জানামতে নেই। অনেক সময় কৃষক পানি নেয় না। সঠিক সময়েই পানি সেচ দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন