সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের ৩৩ শিক্ষার্থীর নামে কৈফিয়তপত্র, হতাশায় শিক্ষার্থীরা

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ৩৩ শিক্ষার্থীর নামে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না এই মর্মে কৈফিয়তপত্র পাঠিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় নান্দাইল ডিগ্রি পরীক্ষার  ভেন্যুতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ৩১ জানুয়ারি ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগে ২৩ জানুয়ারি ৩৩ পরীক্ষার্থীর নামে কৈফিয়তপত্র পাঠানো হয়। মার্কেটিং দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ করায় পরীক্ষক কর্তৃক বহিষ্কৃৃত করা হয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিতভাবে জানতে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা নির্দোশ দাবি করে ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বরাবর চিঠি পাঠায়। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি ডিগ্রি প্রথম বর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে ৩৩ শিক্ষার্থীর ফলাফল আসেনি। ওই অবস্থা দেখে ৩৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে শুরু হয় চরম হতাশা ও অনিশ্চিয়তা। ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুল হান্নান বলেন, পরীক্ষার ফলাফল এমন হওয়ায় এবং কৈফিয়ত চাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে সোহানুর রহমান রাসেল। পরে ঘরের দরজা ভেঙে রাসেলকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন। ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের উপাধ্যক্ষ মাসুদুল হক বলেন, ৮৩ জন পরীক্ষা দিলেও ৫০টি করে খাতা বান্ডেল করা হয়। সে জন্য বাকি ৩৩টি খাতার জন্য আলাদা একটি বান্ডেল করা হয়। ৮৩ জনের মধ্যে ৫০ জনের ফলাফল এলেও ৩৩ জনের ফলাফল আসেনি। তাদের নামে কৈফিয়তপত্র পাঠানো হয় ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিন আগে। সেখানে মার্কেটিং বিষয়ের পরীক্ষা অসদুপায় অবলম্বন করায় কেন তাদের বহিষ্কার করা হবে না মর্মে জবাব চাওয়া হয়। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শিক্ষার্থীদের খাতা দেখা ও ওয়েমার শীটে নম্বর তোলা ছিলো। ওই অবস্থা দেখে পরীক্ষক শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। উপাধ্যক্ষ বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের কোনো দায় নেই। ভুল ক্রমে ৩৩টি খাতা সঠিক পরীক্ষকের কাছে না গিয়ে অন্য কোথাও মূল্যায়িত হতে পারে। পরে সঠিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা দেখে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় পরীক্ষক। ঈশ্বরগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ বিষয়টি তদন্ত করে সুরাহা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ৩৩টি খাতা ভুলক্রমে অন্য কোথাও মূল্যায়ন হতে পারে। পরে সঠিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক নম্বর দেয়া দেখতে পান। তিনি বলেন, ওয়েমার শীটে নম্বর পূরণ করা থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ভুলে হতে পারে। এ বিষয়ে কন্ট্রোলারের সাথে কথা বলে হয়েছে। আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি সভা আছে। সেই সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখানে পরীক্ষা কেন্দ্রের কোনো ত্রুটি নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে সভা করে বক্তব্য দেবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন