বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ধর্ষক ইউপি সদস্যের ছেলে হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় মামলার বাদী

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামে এক দরিদ্র গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে। ওই পরিবারের সদস্যদের এখন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ধর্ষক স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে হওয়ায় চেয়ারম্যানও তার পক্ষ নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ধর্ষিতার স্বামী আনিছুর রহমানের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মনোয়ারা বেগমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২২) এলাকায় লম্পট হিসেবে পরিচিত। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে সে সরকারি ত্রাণের কম্বল দেয়ার কথা বলে সে ভাষারপাড়া গ্রামে তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এসময় আনিছুর রহমানের বাড়িতে তার স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিল না। এ সুযোগে মমিনুল ইসলাম সুকৌশলে আনিছুরের ঘরে ঢুকে জোর করে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় বাইরে থেকে আনিছুরের বাবা বাড়িতে ফিরে তার ছেলের ঘরে ধস্তাধস্তির আভাস পেয়ে ঘরের বেড়া ফাঁক করে মমিনুলের অপকৃর্তি দেখতে পান। তিনি তখন ওই ঘরে একটা তালা লাগিয়ে দিয়ে লোকজনকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এসময় আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে মমিনুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় হস্তক্ষেপে বিচারের কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। পরদিন কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ভাষারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক শালিস বৈঠক বসে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বররা প্রভাব বিস্তার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে পরবর্তীতে মীমাংসার কথা বলে ধর্ষক ছেলেকে সতর্ক করে দিয়ে মায়ের হাতে তুলে দেন। অপরদিকে ওই গৃহবধূকে তার শ্বশুরের হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু শ্বশুর বা ওই বাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে তুলতে রাজি হয়নি। আনিছুর রহমান তার ধর্ষিতা স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দিলে ওই গৃহবধূকে তার মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি মমিনুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই ফুলছড়ি থানা পুলিশ মমিনুলকে আটক করে। গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষাসম্পন্ন করা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে ওই গৃহবধূ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এখন। তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে ধর্ষিতার স্বামী ও শ্বশুরকেও ওই গৃহবধূকে গ্রহণ করার জন্যও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন