শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে আটক ইলিশ গোপনে নিলাম দেয়ার ঘটনায় সুপতি ষ্টেশন কর্মকর্তাকে কৈফিয়ত তলব এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বনবিভাগ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে, ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রেঞ্জ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সুপতি স্টেশন অফিসারকে শোকজ করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি মায়েরদোয়াসহ নামবিহীন অপর একটি পাসবিহীন ফিসিং ট্রলার বোঝাই জাটকা ও ইলিশসহ আটক হয়। মঙ্গলবার বিকেলে শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে আটককৃত প্রায় ৮০ মণ ইলিশ গোপন নিলামে ১০ মণ এবং মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি দেখানো হয়েছে। ফলে, সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে বনবিভাগ। প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী ও বন সংরক্ষক (খুলনা) জহিরউদ্দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএফও (পূর্ব বিভাগ) সাইদুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
ডিএফও সাইদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনায় সুপতি স্টেশন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য শোকজ দেয়া হয়েছে। এদিকে, নিলামকারী কর্মকর্তা শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা না চেয়ে কিংবা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে কেবলমাত্র সুপতি ষ্টেশন কর্মকর্তাকে শোকজ দেওয়ায় বন বিভাগের স্বচ্ছতা নিয়ে নিলামে অংশ গ্রহণকারী ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন খোকন, আকন আলমগীর ও জিয়াউল হাসান তেনজিনসহ এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন জানান, বিষয়টি স্বচ্ছতার সাথে তদন্ত করা হবে এবং কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন