শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের শরণখোলায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে এক যুবকের পুরুষাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করার পর উপজেলার মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের আ. রব হাওলাদের ছেলে রেজাউল করিম (২৫) ও পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের আবু হানিফ মুন্সীর ছেলে নূর হাসান মুন্সী (২২) নামের দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক যুবকের সাথে শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ১৭ বছরের মেয়ের মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে। এর সূত্র ধরে ওই মেয়ের আমন্ত্রণে গত ৯ এপ্রিল সকালে আলাউদ্দিন তাদের বাড়িতে আসেন। এলাকায় অপরিচিত হিসেবে ঘোরাফেরা করতে দেখে ওইদিন দুপুরে স্থানীয় কতিপয় যুবক তাকে ধরে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনকে খবর দেন। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁন ওই এলাকার শহিদের চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে আলাউদ্দিনের পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখে বর্বর নির্যাতন চালায়। প্রায় আধাঘন্টা পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তি মেলে আলাউদ্দিনের।
ইউপি চেয়ারম্যানের এমন ন্যাক্কারজনক বিচারের দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন