ময়নুল হক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে : সাবধান! পথচারী ও যানবাহন চালক’ নিজ দায়িত্বে এবং সাবধানে এই লেভেল ক্রসিং পারাপার হইবেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলপথের বিভিন্ন লেভেল ক্রসিং’এ এরকম দায়সারা গোছের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে দায় সেরেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অথচ এসব অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং’এ ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। গত এক যুগে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত শতাধিক মানুষ। অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বরণ করেছে পঙ্গুত্ব। পশ্চিমাঞ্চল জোনের পার্বতীপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথে লোকালসহ দূরপাল্লার সবধরনের ট্রেন চলাচল করলেও অধিকাংশ লেভেল ক্রসিংগুলোতে নেই গেট আর গেটম্যান। ফলে চিলাহাটি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ২৭টি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে পথচারী কিংবা বিভিন্ন যানবাহন পারাপারে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। রেল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দুটি করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে গেছেন। তবে স্থানীয় জনগণ নিজ দায়িত্বে লেভেল ক্রসিং-এ দুর্ঘটনা এড়াতে পথচারী আর যানবাহন পারাপারে করছে সহায়তা। ডোমার চান্দখানা রেলক্রসিং এলাকার মাসুদ রানা বলেন, কাজিরহাট থেকে আমবাড়ী বাজার পর্যন্ত সড়কে প্রতিনিয়ত পারাপার পথচারীসহ সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, রিকশাভ্যান, মাইক্রো, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক। চিলাহাটী-পার্বতীপুর রেলপথের মির্জাগঞ্জ রেলক্রসিংটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রেলপথে চলাচল করছে নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন। অথচ এখানে নেই গেট ও গেটম্যান।” ডোমারের ধরনীবাড়ী রেলক্রসিং এলাকার আব্দুল মান্নান বলেন, “ডোমার থেকে সোনারায় ফার্ম দেবীগঞ্জ যাতায়াতের সড়কে ধরনীগঞ্জ হাট পেরিয়ে হাফ কিলোমিটার দূরে এই রেলক্রসিং-এর অবস্থান। এই ক্রসিংটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।” রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুজিবুল হক স¤প্রতি নীলফামারী সফরকালে বলেছিলেন, অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংগুলোতে গেট নির্মাণসহ জনবল নিয়োগে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন