শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সোনামসজিদ বন্দরে কাস্টমসের হয়রানি বন্ধে আল্টিমেটাম

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পণ্য ছাড়ে বিভিন্ন ধররের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারীতা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানির সাথে জড়িত তিনটি সংগঠন। এরমধ্যে রয়েছে- সোনামসজিদ আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটি। তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন- ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলি ছাড়ের ক্ষেত্রে হয়রানির কারণে আমদানিকারকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তারা জানান, ২০১৬ সালে নয় আমদানিকারকের আমদানিকৃত পণ্য গুদামে পড়ে রয়েছে। নানা অযুহাত ও টালবাহানা করে এগুলো পণ্য ছাড় দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে। এছাড়াও আমদানিকৃত পণ্যভর্তি ট্রাক ৩-৪ বার ওজন করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত হয়রানি কারণে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না এ স্থলবন্দরে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাবেক সভাপতি কবিরুল রহমান খোকন বলেন, বিগত বছরে প্রায় প্রতিদিন ৩৫০টি করে পাথরের ট্রাক ভারত থেকে সোনামসজিদ বন্দরে আসতো। কিন্তু বর্তমানে আসছে ১৫০টি করে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের বর্তমান কাস্টমস কমিশনারের অসহযোগিতার কারণে স্থলবন্দরে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা ফিরে আসছে না। ব্যবসায়ীরা কাস্টমসের হয়রানি ও আমদানিকৃত পণ্যের লোকসান এড়ানোর জন্যে অন্য বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছে। তিনি আরও বলেন- আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাস্টমস বিভাগের পণ্য ছাড়ে হয়রানি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করে বন্দরের সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা না হলে, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণেই এ বন্দরে দিয়ে দিন দিন পণ্য আমদানি কমে যাচ্ছে। সেই সাথে কমে গেছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাদেকুর রহমান মাস্টার, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে বন্দর বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুখলেসুর রহমান, আমদানি-রফতানিকারকের সাহাবুদ্দিনসহ তিনটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সভার সভাপতি কবিরুর রহমান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন