মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : রাণীশংকৈলে পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ডের দেয়া নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে অনিয়ম দুর্নীতিসহ কৃষক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার হোসেনগাঁও এলাকার সমসের আলীর পুত্র কৃষক আশামউদ্দীন একটি সেচপাম্পের সংযোগের জন্য ১ বছর আগে পল্লীবিদ্যুৎ অধিদপ্তরে আবেদন করে। তিনি বলেন, চেসপাম্প সংযোগের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা পল্লীবিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন। তারপরেও ১ বছর ধরে হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। অনেক হয়নির পর পল্লীবিদ্যুৎ গত বুধবার তার সেচ পাম্পের সংযোগ দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশামউদ্দীনের সেচপাম্পের ৯০ফিট পূর্বদিকে একই গ্রামের কৃষক মাইজউদ্দীনের একটি ডিজেল চালিত সেচ পাম্প রয়েছে। মাইজউদ্দীনের অভিযোগ তিনি মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিতে না পারায় তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। পল্লীবিদ্যুৎ অধিদপ্তর কর্তৃক জানা যায়, এক পাম্প থেকে অন্য পাম্পের দুরত্ব ৭শ’ মিটার হতে হবে। অথচ ৯০ মিটারের মধ্যে ২টি ডিজেল চালিত সেচপাম্প রয়েছে। কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী উৎকোচের বিনিময়ে অনিয়মভাবে প্রায় ১ বছর পর কৃষক আশামউদ্দীনকে সেচপাম্পের সংযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম একেএম মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে তদন্ত করে দেখা গেছে আশামউদ্দীরে পাম্পের আশপাশে ৭শ’ মিটারের মধ্যে কোন পাম্প দেখতে পাওয়া যায়নি। আশামউদ্দীনের সেচপাম্পটি চতলি চছরে ১৮ জানুয়ারি অনুমোদন হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব থাকায় অন্যকৃষক তার ৯০ ফিট পূর্ব দিকে গত ৩১ জানুয়ারি একটি ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়েছেন। সার্বিক চিন্তাভাবনা করে আশামউদ্দীনের পাম্পটি বৈধ ঘোষণা করে তাকে সংযোগ দেয়া হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী পাম্পটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে উৎকোচের বিষয়টির সঠিক উত্তর না দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন