সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কৌশলে মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে কেটে নেয়ার চেষ্টা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ার রেল স্টেশনটির বেশ কয়েকটি মূল্যবান ৩টি গাছে কৌশলে মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলে তা কেটে নেয়ার চেষ্টা চলছে। স্টেশনের পাশে এই গাছগুলি মরে যাওয়ায় গাছের ছায়া থেকে যাত্রিরা বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে প্রচÐ গরমে রেলযাত্রিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিঃ মিঃ দক্ষিণে তালোড়া রেল স্টেশনটি অবস্থিত। এ স্টেশনটি দিয়ে প্রতিদিন আন্তনগর এক্সপ্রেসসহ প্রায় ১২টি মেইল লোকাল ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে। এছাড়া এ স্টেশনে তালোড়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে মালামাল উঠানামা করা সহ এলুমিনিয়াম তৈজসপত্র উঠানামা করে থাকে। এজন্য রেল স্টেশনটির গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। গুরুত্বপূর্ণ এই রেল স্টেশনের প্লাটফরম ঘেঁষে উত্তর পাশে দীর্ঘ দিনের বড় মূল্যবান কড়ই গাছে মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গাছটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। একই ভাবে স্টেশনের পেছনে বিশাল শিমুল গাছ যাহার মূল্য ২৫ হাজার টাকা ও আরেকটি জাম গাছ যাহার মূল্য ১ লাখ টাকা অনুরূপভাবে গাছের গোড়ায় মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে। গাছগুলো সুকৗশলে মেরে ফেলার জন্য প্লাট ফরম সংলগ্ন মার্কেটের জনৈক এক মালিকের দিকে আঙ্গুল তুলছে অভিযোগকারীরা। তালোড়া ইউনিয়ন মেম্বার মুকুল হোসেন (৪৮), দুবড়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন প্রামাণিকের পত্র কোরবান আলী (৬০), চৌধুরীপাড়ার মৃত ফজলার রহমানের ছেলে আমিনুর ইসলাম তাজু, রেল কলনির মফিজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে ফজলুর রহমান (৫৫), তালোড়া বাজারের শ্রী বীরেন্দ্রনাথ মÐলের ছেলে বিকাশ চন্দ্র মÐল (৫০)সহ আরো অনেকেই “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, তালোড়া প্লাট ফরম ঘেঁষে দীর্ঘ দিনের পুরনো কড়ই গাছটি রেল যাত্রিদের বটবৃক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। প্রচÐ গরমে রেলের যাত্রিরা এই গাছের নিচে বিশ্রাম নিত। তাছাড়াও তালোড়া বাজারের সাধারণ মানুষও বিকেলে এই গাছের নিচে বসে অবসর সময় কাটাত। গাছ সংলগ্ন নির্মিত মার্কেটের মালিক গাছের ডালপালা মার্কেটের টিনের উপর পড়ায় ক্ষতির আশংকা গাছটির গোড়ায় মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে। তারা আরো জানান, তালোড়া রেল স্টেশন মাস্টার দেওয়ান সামছুল হকের নিকটতম আত্মীয় হওয়ার সুবাদে গাছ মেরে ফেললেও সুস্পষ্ট অভিযোগ দেয়ার পরই ওই মার্কেটের মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার তালোড়া স্টেশন মাস্টার দেওয়ান সামছুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গাছগুলো মরার কারণ তার জানা নেই। কেউ মেডিসিন প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে এ ধরনের কোন অভিযোগও কেউ দেয়নি। তবে গাছগুলো মরে যাওয়ার বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলে জানান। দীর্ঘ দিনের পুরনো ঐতিহ্যবাহী তালোড়া এই স্টেশনের মূল্যবান গাছগুলো মেরে ফেলায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে উঠেছে। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ এই গাছ মেরে ফেলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রæত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন