রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিশ হাজার জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের নাম কয়লা-ঝিলতলি সড়ক

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা-ঝিলতলি সড়কটি ৫টি গ্রামের অন্ততঃ ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ আর সীমাহীন ভোগান্তির কারণ। স্থানীয় সর্বসাধারণ অবর্ণনীয় এই দুর্ভোগের অবসান দাবি জানিয়েও পাচ্ছে না উপায়ান্তর। করেরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও এই কয়লা এলাকা স্বাধীনতার পর থেকেই সকল সরকারের আমলেই নানাভাবে অবহেলিত বলে জানান এলাকার প্রবীণরা। ইসলামপুর গ্রামের বৃদ্ধ রুহুল আমিন ও আবু তাহের জানান, কয়লা থেকে ঝিলতলি পেরিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি এই এলাকার একমাত্র প্রধান সড়ক। এই সড়ক দিয়েই স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সদর কিংবা বারইয়াহাট যেতে হয়। ঝিলতলি, রহমতপুর, কালাপানিয়া, শহিদপুর, মোহাম্মদপুর, মরা কয়লা, শহিদপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। দৈনিক হাজার হাজার মানুষ আর শত শত সিএনজি, অটোরিকশা চলে। গ্রামের পথচারী ভুক্তভোগি আবু তাহের ও আবুল হোসেন জানান, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক শত শত বালুর ট্রাকও যাচ্ছে। সরকার পাচ্ছে বছর বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। কিন্তু তবুও বছরের ৬ মাস বালু আর বাকি ছয়মাস হাঁটু পরিমাণ কাদা দিয়েই পারাপার হতে হয় এখানকার মানুষকে। আবার ছড়া ও খালগুলোর উপর কয়েকটি ব্রিজও ধসে পড়ে আছে মুখ থুবড়ে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে এর উপর দিয়ে চলাচল করছে গাড়িসহ সর্বসাধারণ। এই দুর্ভোগ যেন এই জনপদবাসীর ভাগ্যের পরিহাস। কিন্তু এখন আর কেউ পিছিয়ে নেই। সেখানেও পড়ছে সচেতনতার ছোঁয়া। এলাকায় স্কুল হয়েছে, মাদরাসা হয়েছে। অনেকের পরিবার থেকে কলেজে যাচ্ছে তাদের সন্তানরা। ওরা এখন প্রতিবাদ করছে অবহেলিত এই জনপদের। স্থানীয় জনৈক সমাজ সচেতন আফছার চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছে আমরা এলাকার রাস্তা ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছি। ইতোমধ্যে তিনি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। আশা করছি রাস্তাটির উন্নয়নেও তিনি এগিয়ে আসবেন। দীর্ঘ ৩২ বছর মেম্বার হিসেবে বার বার নির্বাচিত হওয়া মো. মহিউদ্দিনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি এলাকায় স্কুল-মাদরাসাগুলোর স্বার্থে রাস্তার জন্য নিরলস চেষ্টার পর অবশেষে শিগগিরই রাস্তাটির উন্নয়ন বরাদ্দ হয়েছে। করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, আমাদের অভিভাবক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে ৩ কিলোমিটার রাস্তার অনুমোদন এসেছে অবশিষ্ট অংশের উন্নয়নও আমরা শিগগিরই সম্পন্ন করব। তিনি আরো বলেন, এছাড়া এলাকাবাসীর দাবি হিসেবে ভারী যানবাহন চলাচল না করার জন্য সেখানে রাস্তার উন্নয়ন কাজ হওয়ার পর আমরা নিয়ন্ত্রণ বার করে দিব। ব্রিজগুলোর মধ্যেও কয়েকটি ব্রিজ শিগগিরই অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
বাবু এিপুরা ৭ জুলাই, ২০২২, ৭:৫০ এএম says : 0
আমাদের কয়লা হাজির বাগান থেকে ভিতরে ফরেষ্ট বন পথ যাওয়ার পথে পাহাড়ি একটি উচু টিলা রয়ছে রাষ্টাটি কাঁচা ও খাড়া হওয়ার কারণে ছাএ ছাএী ও জনসাধারণ এবং প্রতিদিন মোটর সাইকেল চলাচল করে বাংলাদেশ রপ্তানিকিতো লেবু বাগান রয়ছে দুঃখের বিষয় প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হলে রাষ্টাটি ছাএ ছাএীরা ইস্কুলে যায়ায়ত করতে পারে না ফলে মোটরসাইকেল চলা চল দূর্ঘটনার সমূখিন হয়ে পরে।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন