সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ছাতক-বাংলাবাজার সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতক-বাংলাবাজার সড়কের সংস্কার কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দায়সারা কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। যুগের পর যুগ থেকে চলাচলের অনুপযোগী মারাত্মক ভাঙন কবলিত এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে এ অঞ্চলের লাখো মানুষকে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের দাবিতে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় লোকজন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে ২০১৬ সালের শেষের দিকে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে নোয়ারাই-বাংলাবাজার সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার আহŸান করা হয়। এতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হলেও শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। টেন্ডারের মাধ্যমে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার ঠিকাদার আমিনুল হক এ কাজটি পান। সড়কের পৌরসভার অংশ থেকে কাজ শুরুর পরই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন পৌর কাউন্সিলর লিয়াকত আলী। পরে নোয়ারাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জুবেদ আলী তালুকদারসহ স্থানীয় লোকজন একই অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ছাতকের নোয়ারাইবাজার থেকে খুদখাল পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজের অনেকাংশেই পাথরের পরিবর্তে পুরাতন রাস্তা থেকে সংগৃহীত ভাঙা কংক্রিট ও রড দিয়ে পুনরায় সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। নতুন রডের সাথে এসব পুরাতন রড যোগ করে দায়সারাভাবে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নি¤œমানের বালু। ইতিমধ্যেই কয়েকশ ফুট রাস্তার ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গরুর পায়ের চাপে এসব ঢালাই উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কচ্ছপগতিতে চলছে সংস্কার কাজ। কাজের ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নোয়ারাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জুবেদ আলী তালুকদার জানান, এই সড়ক সংস্কারের বিষয়টি ছিল এ অঞ্চলের লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু সড়ক সংস্কার কাজের সরকারি বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার দায়সারা কাজ করে লুটপাট শুরু করেছে। তিনি এ ব্যাপারে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সমরেন্দ্র দাস তালুকদার জানান, পুরাতন রড ও সড়ক ভাঙা কংক্রিট ব্যবহারের বিষয়টি ওয়ার্ক অর্ডারে অনুমতি দেয়া আছে। এতে রাস্তা মজবুতের পাশাপাশি সাশ্রয় হয়েছে সরকারের ১১ লাখ টাকা। এ ছাড়া রাস্তার কাজের অন্য কোন অনিয়ম ধরা পড়লে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন