সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লাইসেন্সবিহীন সার ও কীটনাশকের দোকানীরা মানছে না নিয়ম

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় কার্ড ও লাইসেন্সবিহীন সার ও কীটনাশকের দোকান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে দোকানগুলো কোন নিয়মনীতি ছাড়াই সার ও ফসলের জীবনরক্ষাকারী কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করছে। তারা না মানছে সরকারি নীতিমালা না করছে আইনের তোয়াক্কা। কাজিপুর উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে শুধু নয় প্রতিটি গ্রামেই প্রায় ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো মৌসুমে কিছু মুনাফা লোভী সার, ডিজেল, কীটনাশক ওষুধের ব্যবস্যা করে থাকে। এরা মৌসুমে গরীব কৃষকদের কাছে নগদ ও বাকিতে চড়ামূল্যে এসব সরবরাহ করে থাকে। ধান কাটা মাড়া হলেই হালখাতা শুরু করে। সরকার কৃষকদের হাতের কাছে সার পৌঁছে দেয়ার জন্য খুচরা পর্যাপ্ত সার ডিলার নিয়োগ দিয়েছে। এসব খুচরা সার ডিলারদের জন্য নিয়মনীতিও নির্ধারণ করেছে। এছাড়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত সার ডিলাও রয়েছে। কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে কোন কিছুতেই কমতি রাখেনি সরকার। সরকার প্রকৃত কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহ করতে আইডি কার্ডের ব্যবস্থাসহ ভর্তুকি প্রদানও করছেন। এরপরও হাট-বাজারসহ গ্রাম-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এসবের দোকান। মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন ধান-চাল। এই ধানসহ যাবতীয় ফসল উৎপাদনে কোন জমিতে কোন ফসল, কতখানি জমিতে কি পরিমাণ কি কি সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে তার জন্য সরকারিভাবে কৃষি বিভাগ রয়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায় সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের কৃষির উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। কৃষি কাজে সবকিছু পরামর্শ তাদের কাছে থেকেই পাওয়ার কথা। অথচ হাট-বাজারসহ গ্রামগঞ্জে গজিয়ে উঠে একশ্রেণী মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে প্রতারিত করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন