মোহাম্মদ আবদুল গফুর : ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয় এ সত্য এখন সকলেই বলে থাকেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের পথ-পরিক্রমা কত কঠিন ছিল এবং তা যে মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, এ কথা খুব কম লোকেই জানেন। ভাষা আন্দোলনের যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাদের এসব বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে চূড়ান্ত সাফল্যের লক্ষ্যে ভাষা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
সকলেই জানেন, ১৯০ বছরের সা¤্রাজ্যবাদী বৃটিশ শাসনের অবসানে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভারত ও পাকিস্তান এই দুই স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে। ভারতের রাষ্ট্রভাষা যে হিন্দি হবে, সে সম্পর্কে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পূর্বাহ্নেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে সে সম্পর্কে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে এ প্রশ্নে আলোচনা-সমালোচনা চলাকালেই ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্মলাভ করে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হলেও পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে উর্দুভাষীদের বিরাট সংখ্যাধিক্যের সুযোগে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার একটা গোপন ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়। এর প্রমাণ পাওয়া যায় নতুন রাষ্ট্রের পোস্টকার্ড, এনভেলপ, মানি অর্ডার ফরম প্রভৃতিতে ইংরেজির পাশাপাশি শুধু উর্দুর ব্যবহার থেকে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া তমদ্দুন মজলিস নামের সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়ে যায়।
ওই পুস্তিকায় তিনটি লেখা স্থান পায়। ওই তিন লেখার লেখক ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ও প্রখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ। এর মধ্যে তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেমের লেখায় ভাষা আন্দোলনের মূল দাবিসমূহ স্থান পায় এভাবে :
(১) পূর্ব পাকিস্তানের অফিস- আদালতের ভাষা হবে বাংলা।
(২) পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার মাধ্যম হবে বাংলা।
(৩) পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটিÑ বাংলা ও উর্দু।
এখানে উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালে সমগ্র পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা ৫৬% জন বাস করত পূর্ব পাকিস্তানে এবং তাদের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। বাংলা ভাষাভাষীদের এই বিপুল সংখ্যাধিক্যকে অস্বীকার করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রচেষ্টা ছিল প্রচ- অন্যায়। অথচ সেই অন্যায়কে চোখ বুজে মেনে নেওয়ার মনোভাব ছিল অনেকের মধ্যে বহু কষ্টার্জিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসার কারণে। তাই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পর ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভাষা আন্দোলন শুরু হওয়া অনেকের কাছেই ছিল অগ্রহণযোগ্য।
তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ভারত থেকে আসা মোহাজেরদের অনেকেই ছিল উর্দুভাষী মোহাজের। তারা ছিল ভাষা আন্দোলনের বিরোধী। এমন কি ঢাকা শহরের আদি বাসিন্দাদের অনেকেই কথা বলতো উর্দুমিশ্রিত বাংলায়। তাদের ব্যবহৃত বাংলার নমুনাস্বরূপ রমজান মাসে সেহরির সময় যে ভাষায় তারা রোজাদারদের ঘুম ভাঙাতে চেষ্টা করত, তা নি¤œরূপঃ
রোজদারও আল্লা কি পিয়ারো
ওঠঠো, সেহরি খা লাও, রাত ঢাই (আড়াই) বাজ গিয়া।
এরা অনেকেই প্রথম প্রথম ভাষা আন্দোলনের চরম বিরোধিতা করে। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ নামের তমদ্দুন মজলিসের এক কর্মী এদের হাতে আটক হন। তারা তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে সৌভাগ্যক্রমে কিছু লোকের হস্তক্ষেপের ফলে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। ঢাকা শহরের আদি বাসিন্দাদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের স্বপক্ষে প্রচার চালানোর লক্ষ্যে এ সময় তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে ‘ঢাকা মজলিস’ নামের একটি স্বতন্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হয়।
তাছাড়া মুসলমানদের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে সে সময়ে উর্দুর বিরাট প্রভাব ছিল। মিলাদ মাহফিল পড়ানো হতো উর্দু ভাষায়। এমন কি জুমার নামাজের পূর্বের খুতবাও অনেক মসজিদে উর্দুতে পাঠ করা হতো। উর্দু ও ফার্সি ভাষাকে আরবির পরই মুসলমানদের ধর্মীয় ভাষা বিবেচনা করা হতো।
বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে উর্দুর এ প্রভাব প্রথম দিকে ভাষা আন্দোলনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। তাছাড়া উপমহাদেশের মুসলিম শিক্ষার বড় দুটি কেন্দ্র দেওবন্দ ও আলীগড় উভয়ই উর্দু অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রাচীন পন্থী ও আধুনিক দুই শ্রেণীর উচ্চ শিক্ষিত মুসলমানদের অনেকেরই উর্দুর প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা ছিল এই সেদিন পর্যন্ত।
এসব ছাড়াও বহু মুসলিম অভিজাত পরিবারের ভাষা উর্দু হওয়ায় ওইসব পরিবারের থেকে আসা অনেক নেতাই উর্দুতে কথা বলতে পারা তারা আভিজাত্যের প্রমাণ বলে মনে করতেন। তারা বহু দিন পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনকে সুনজরে দেখেননি।
পাকিস্তানের অখ-তায় বিশ্বাসী অনেকে তো এই সেদিন পর্যন্ত তমদ্দুন মজলিসের কাউকে দেখলেই তাদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বলতেন, এই এরাই সাতচল্লিশে পাকিস্তানের জন্মলাভের এক মাসের মধ্যেই ভাষা আন্দোলন শুরু করে পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। দুঃখের সাথে বলতে হয়, এরা পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তিরূপী লাহোর প্রস্তাবটি পর্যন্ত ভালো করে পড়ে দেখেননি। তাছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে হাজার মাইলের বৈরী জনপদ দ্বারা ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন দুটি স্বতন্ত্র ভূখ- নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠনের দৃষ্টান্ত প্রায় নেই বললেই চলে। এই বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়েই পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তিরূপী লাহোর প্রস্তাবে স্পষ্ট ভাষায় উল্লিখিত ছিল যে, উপমহাদেশের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাসমূহে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। সেই নিরিখে সাবেক পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে স্বাধীন বাংলাদেশ নামের স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক ও অপরিহার্য।
অনেকে মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় মর্যাদাদানের লক্ষ্যে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিতেন। এর জবাবে তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ হতে পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা ইবরাহিমের চার নম্বর আয়াতের উল্লেখ করে ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়া হতো। উক্ত আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি কোনো রাসূলকে মাতৃভাষায় ছাড়া বাণী প্রেরণ করিনি, যাতে ওই বাণীকে তারা জনগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারে।
ভাষা আন্দোলনের দাবি ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটিÑ বাংলা ও উর্দু। এ নিয়েও ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধবাদীরা প্রশ্ন তুলতেন, একটি রাষ্ট্রের একাধিক রাষ্ট্রভাষা হবে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে পৃথিবীতে যেসব রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা রয়েছে, তার দৃষ্টান্ত দিয়ে ভাষা আন্দোলনের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হতো।
এখানে উল্লেখযোগ্য, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা-নেতা কায়েদে আজম মুহম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৯৪০ সালের মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তিরূপী যে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাতে তো উপমহাদেশের মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। ভাষা আন্দোলনের ভিত্তিরূপী ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকায় তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেম তাঁর লেখায় এ বিষয়টির উল্লেখ করে বলেন, যেখানে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের কথা লাহোর প্রস্তাবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে তার তুলনায় আমাদের বর্তমান দাবি তো অনেক ক্ষুদ্র, সুতরাং এর বিরোধিতা করা অর্থহীন।
বাংলা ভাষা হিন্দুদের ভাষা, তাই এই ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা উচিত নয়, এমন কথাও আন্দোলনের কোন কোন বিরুদ্ধবাদী তখন বলতো। এর জবাবে বলা হল বাংলা ভাষার শৈশবকালে সেন রাজাদের শাসনামলে সংস্কৃত ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় এ যুক্তিতে যে, সংস্কৃত হচ্ছে দেবতাদের ভাষা, বাংলা প্রভৃতি ভাষা মানুষের ভাষা। তাই বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ প-িতদের দ্বারা ফতোয়া দেয়ানো হয় যে, দেবতাদের ভাষা ত্যাগ করে যারা মনুষ্য সৃষ্ট বাংলা প্রভৃতি ভাষা ব্যবহার করবে তারা রৌঢ়ব নরকে যাবে।
বিশিষ্ট গবেষক ড. দীনেশচন্দ্র সেন লিখেছেন, ঠিক এই সময়ে বখতিয়ার খিলজি বাংলাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত করায় বাংলা ভাষার বিকাশ ও অগ্রগতি সম্ভব হয়। সেন শাসন আরও বেশি দিন স্থায়ী হলে বাংলা ভাষার বিকাশ এবং পরবর্তীকালের বিরাট সমৃদ্ধি সম্ভবপর হতো না। বাংলা ভাষার সেই শৈশবের বিপদ কাটিয়ে উঠতে মুসলিম শাসন বিশেষ সহায়ক হয়। সুতরাং বাংলা ভাষা হিন্দুদের ভাষা এ অপবাদ সত্য নয়।
প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে প্রত্যেক ভাষাই বিশ্ব¯্রষ্টার দান। আমরা কোরআন শরীফের সূরা আর-রহমান থেকে জানতে পাই, ¯্রষ্টাই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের ভাব প্রকাশের বাহন ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন (খালাকাল ইনসানা ওয়া আল্লামাহুল বায়ান)। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনামলে বাংলা ভাষায় সকল ধর্মের অনুসারীদের ভাষা চর্চার যে সুযোগ সৃষ্টি হয় তার প্রমাণ রয়েছে বাংলা ভাষার মধ্যযুগের ইতিহাসে। ইংরেজ শাসনামলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্রের ফলে মুসলমানরা কিছু দিন বাংলা ভাষা চর্চা থেকে বিরত থাকলেও অল্প দিনের মধ্যে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে বাংলা ভাষা চর্চায় ফিরে আসেন। এর ফলে আমরা মীর মশাররফ, কায়কোবাদ, মোজাম্মেল হক, শেখ আবদুর রহিম প্রমুখ বিখ্যাত সাহিত্যিকদের আবির্ভাব লক্ষ্য করি। এরপর মুসলমানদের আর কখনও পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সর্বশেষে কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাবের মধ্যে দিয়ে মুসলমানরা, আবুল মনসুর আহমদের ভাষায়, বাংলা ভাষায় তাদের স্বাভাবিক বিজয়, লাভ করেন।
১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের মুসলিম অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার রাজধানী কলকাতায় পূর্ব পাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটি নামে এবং ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ নামে যে দুটি সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় তার উদ্যোগে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদাদানের উদ্যোগের সূচনা হয়। এর পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তমদ্দুন মজলিস নামের যে সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, স্বাভাবিকভাবে সেই সংস্থা নিজেদের স্কন্ধে বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৪৭ সালের পার্টিশনের প্রাক্কালে ভারত ও পাকিস্তানের বাইরে বৃহত্তর সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের প্রস্তাবে অসম্মত হয়ে এককালের বাংলাদেশের রাজধানী কলকাতার বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা হিন্দিভাষীদের শাসনাধীনে বর্তমানে বাংলা ভাষা ভুলতে বসেছে। অন্যদিকে বাঙালি মুসলমানরা স্বতন্ত্র স্বাধীন আবাসভূমি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশ লাভ করায় এখন বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপ্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। এর ফল হয়েছে এই যে, এককালের কলকাতার স্থান দখল করে ঢাকা এখন হয়েছে বাংলা ভাষার রাজধানী। ভাষা আন্দোলনের এ অর্জনকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন