শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রেলক্রসিং এখন মৃত্যুফাঁদ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুরের সোনারায় সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী এলাকার রেলক্রসিংটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তদারকির অভাব, গেটম্যান না থাকা আর রেললাইন সংলগ্ন রেলভূমি অবৈধ দখলে নেয়ায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এ রেলক্রসিংটি। রেল সূত্র জানায়, সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ৭টি রেলগেট রয়েছে আর তদারকির অভাবে অরক্ষিত রয়েছে ১৫টি রেলক্রসিং। এসব রেলক্রসিং সংলগ্ন সতর্কবার্তা সাইন বোর্ড দেয়া হলেও অবৈধ রেলভূমির দখলদারদের কারণে পথচারী বা পরিবহন চালকদের তা চোখেই পড়ছে না। এ কারণে অরক্ষিত এসব রেলক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই প্রাণ হারাচ্ছে পথচারী ও পরিবহন চালকরা। সৈয়দপুর শহরে দুটি রেলক্রসিং থাকলেও এগুলোর কোনোটিরই গেট নেই, অপরটির গেট থাকলেও সেটি ভাঙা। ফলে ট্রেন চলাচলের সময় এসব গেট ফেলা হলেও এর নিচ দিয়ে বা সাইড দিয়ে লোকজন ও মোটরসাইকেল চলাচল অব্যাহত থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময় রয়েছে। মাঝে মধ্যে গেটম্যানের অবহেলার কারণে গেট ফেলার আগেই ট্রেন চলে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকার কারণে গত ২০১৫ সালে রেললাইনের ওপর দিয়ে পিকআপ ভ্যান পারাপারের সময় সৈয়দপুরের ৪ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। ওই সময় থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, এসআই আজিজ ও নাজমুলসহ গুরুতর আহত হন পুলিশের অনেক সদস্য। সৈয়দপুর রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই খুদা এ প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল রেলের আওতায় ৭শ রেলক্রসিংয়ের গেট নির্মাণ ও প্রায় ১৮শ গেটম্যান নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সাথে অবৈধ দখলদারদেরও উচ্ছেদ কার্যক্রম অল্পদিনের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন