শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চিলাহাটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসি খাবার

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে পচাবাসি খাবার এবং মাছ ও মাংস নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি বাজারের হোটেল গুলিতে অনায়াসে বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসি খাবার। খাবারগুলো ঢেঁকে রাখা হয় না। ফলে মশা মাছি ও ধুলোবালি পড়ে জীবাণু ছড়াচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলতে কিছুই নেই। হোটেল শ্রমিকরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকে না বা তাদের কোন বৈধ ডাক্তারী পরীক্ষার কাগজপত্র নেই। তারা বেশীর ভাগেই সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অথচ তাদের হাতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে খেতে হচ্ছে খাবার। এই সমস্ত খাবার খেয়ে এলাকার মানুষ জন পেটের পীড়া, আমাশয়সহ জটিল কঠিন রোগে ভুগছে প্রতিনিয়ত। হোটেলেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না থাকলেও তা দেখার বা বলার কেউ নাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ পচা-বাসি খাবার অনায়সে খেয়ে যাচ্ছে। খাবার বাসনপত্র বা টেবিল-চেয়ার গুলিও থাকে অপরিষ্কার। হোটেলগুলোতে সকাল-সন্ধ্যা থাকছে উপচে পড়া ভিড়। হোটেলে ঢুকলে সহজে মিলে না বসার জায়গা। খালি জায়গা পেলেই ক্রেতারা তাড়াহুড়ো করে বসে পরে। প্রতিটি হোটেলে বেসিন থাকলেও থাকেনা সাবান। এই সুযোগে অনেক হোটেল মালিক নি¤œমানের আটা, ময়দা, লবণ, চিনি, চাপাতা ও তেল দিয়ে খাবার তৈরি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা রাজস্ব খাতে দিচ্ছে না ট্যাক্স বা ভ্যাট। এমনকি কোন ক্রেতাকেই মেমো দেয় না মিষ্টি বা অন্য কিছু বিক্রি করলেও তাদের দোকানে মূল্যে তালিকা নেই। অধিকাংশ হোটেলে বইরে খাবার তৈরী করে। অন্য দিকে গরু ও ছাগল জবাই করার আগে সরকার নিয়ম অনুসারে ডাক্টারি পরীক্ষার পর সনদপত্র বা সীল দেওয়ার পর জবই করার কথা কিন্তু চিলাহাটি এবং আশপাশের হাটগুলিতে অনাসয়ে দিন দুপুরে এমন কি রাতেও গরু ছাগল জবাই করে বিক্রি করা হয়। অধিকাংশ গরু-ছাগল ছোট এবং রোগাক্রান্ত বলে জানা গেছে। একটি সূত্র জানায়, মাসের শেষে স্যানেটারী লোক এসে গোপনে হোটেল মালিক হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাশ ম্যামো ধরিয়ে দিয়ে তার পাওনা বুঝে নিয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক হোটেল মালিক বনে যাচ্ছে পুঁজিপতি। হোটেল মালিকরা বলেন আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা রাখছি, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করার প্রশ্নই আসেনা। উপজেলা থেকে প্রতি মাসে ২/৩ বার স্যানেটারী কর্মকর্তা পরির্দশনে এসে হোটেল মালিকদের সাথে দেখা করে চলে যায়। এতে কোন হোটেল মালিক তাদের সন্তুষ্ট না করলে ওই হোটেলের মিষ্টান্ন খাদ্য প্যাকেট করে নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। যা পরবর্তিতে যোগাযোগের পর ধামাচাপায় পড়ে থাকে। তাই এখানকার হোটেল মালিকরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দুলাল বলেন, দুই মাস পূর্বে আমরা একাধিক হোটেলকে জরিমানা করে জরিমানা আদায় করেছি। মাসোহারা চুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা হাওয়া থেকে পাওয়া খবর আপনাদের। চিলাহাটি বাজারে হোটেল সোনার মদিনা, হোটেল ভাই ভাই ও আজিজ হোটেলে সব সময় বেচাকেনার জমজমাট অবস্থা থাকে। এ হোটেলগুলিতে সব সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল খাদ্য বিক্রি হয়। ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার ওই তিন হোটেল মালিককে জরিমানা করেছে। তথাপিও তাদের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। পূর্বের মতো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও বাজারের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল ও ফাস্ট ফুডের হোটেল। মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য অনায়াসেই বিক্রি করছে এসব হোটেল মালিকরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন