সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : সখিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘী এলাকায় তিন বছর যাবৎ গভীর নলক‚প বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার একর জমি অনাবাদী রয়েছে। জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) বগুড়া সখিপুরের শিক্ষা সহায়তা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জোড়দিঘী এলাকায় অনাবাদী জমি চাষের জন্য একটি গভীর নলক‚প স্থাপন করে। জমিতে পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলক‚পের চারদিকে এক কিলোমিটারব্যাপী ভ‚-গর্ভস্থ পানির লাইন বসানো হয়। ২০০৭-২০১৪ সাল পর্যন্ত হাসান মাসুদ মাস্টার গং গভীর নলক‚পটি পরিচালনা করে আর ডি এ বগুড়ায় কোন কিস্তি পরিশোধ করেনি এবং বিদ্যুৎ বিলও না দিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে শিক্ষা সহায়তা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন (শিসক) চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন আল-আব্বাসী অভিযোগ করেন। বর্তমানে ওই এলাকার কিছু অংশে দূরবর্তী গভীর নলক‚প থেকে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা শিসক ফাউন্ডেশনের গভীর নলক‚পটি পুনরায় চালু করার জন্য এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি কর্মকর্তা এবং মহাপরিচালক পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন শিসক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন আল-আব্বাসী। কিন্তু অতীব দুঃখজনক হলেও সত্য, অদ্যাবধি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে এ বছর জোড়দিঘী এলাকায় প্রায় ১০ হাজার একর জমি ইরি-বোরো আবাদ হয়নি। শিসক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন আল আব্বাসী বলেন, হাসান মাসুদ মাস্টার গং আমার স্কীমের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং বর্তমানে আমার গভীর নলক‚প এলাকার মধ্যে অন্য গভীর নলক‚প দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছে। কোন অভিযোগ করেও ফল পায়নি। এ ব্যাপারে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) বগুড়া উপ-পরিচালক একেএম ফজলুল করিম রাঙাকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ওই গভীর নলক‚প এলাকায় যতটুকু জমি আবাদ হওয়া দরকার ততটুকু আবাদ না হওয়ায় গভীর নলক‚পটি বন্ধ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন