রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রূপগঞ্জে কাঞ্চন-কুড়িল রোড যানবাহনে অনিয়ন্ত্রিত ভাড়া আদায়ে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)‘র অধীনে পূর্বাচল উপশহরের কাঞ্চন কুড়িল রোডে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে ফিটনেসবিহীন অবৈধ প্রাইভেটকার মাঝলক ও চালক চক্র। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই পথে নিত্য যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ। সরেজমিন দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন সেতু এলাকা থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড এলাকা পর্যন্ত ৩শ’ ফুট খ্যাত একটি মহাসড়কের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। কিন্তু এ পথে স্বাভাবিক ভাড়া আদায় হচ্ছে জনপ্রতি ৬০ টাকা। ফলে স্থানীয় যাত্রী ও চালকদের সাথে অনিয়ন্ত্রিত ভাড়া আদায় নিয়ে নিত্য বাক বিতÐা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলে। তাতেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। এদিকে অবৈধ এসব ফিটনেসবিহীন প্রাইভেটকারগুলো এ রোডে নিয়মিত চলাচল করায় জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ও ট্রাফিক বিভাগকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ফলে সাধারণদের ঘাড়েই পড়েছে বাড়তি ভাড়া প্রদানের বোঝা। এ পথের নিয়মিত যাত্রী মধুখালী এলাকার মোমেন মিয়া জানান, প্রতিদিন এ পথে যাতায়াত করতে হয় জীবিকার তাগিদে। কিন্তু ভাড়তি ভাড়া আদায়ে প্রতিদিনের আয়ের বেশির ভাগই যায় প্রাইভেটকার চালকের পকেটে। অপরযাত্রী তাহছিনা আক্তার নিশাত বলেন, একই সড়কের অপর অংশে রয়েছে এশিয়ান মহাসড়ক বা ঢাকা বাইপাস সড়ক। গোলাকান্দাইল গাউছিয়া মোড় থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য মাত্র ৮ কিলোমিটার। তবে এ পথের যাত্রীদের কাছ থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় একই ধরনের প্রাইভেটকারে জনপ্রতি ২০ টাকা করে আদায় হচ্ছে। যা নিয়ে স্থানীয় যাত্রীদের রয়েছে স্বস্তি। তবে কাঞ্চন-কুড়িল রোডের ১০কিলোমিটার অংশে ৬০ টাকা ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের শেষ নেই। প্রতিদিন হয়রানির শিকার হলেও সংঘবদ্ধ হতে না পারায় কেউ প্রতিবাদ করতেও পারছে না। ফলে যাত্রীরা আলাদাভাবে প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হচ্ছেন এসব অবৈধ প্রাইভেটকার চালকের হাতে। গাড়ি চালকরা জানায়, দরিদ্র ও কমপূঁজির লোকজন স্বল্পমূল্যে পুরাতন প্রাইভেটকার গাড়ি ক্রয় করে জীবিকার তাগিদে চালাচ্ছেন। এসব গাড়ি চালাতে গিয়ে রাস্তায় বিশেষ খরচ বহন করতে হয় তাই বেশি ভাড়া আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, এসব গাড়িগুলো চলছে ঢাকার খিলক্ষেত থানা ও ট্রাফিক বিভাগসহ রূপগঞ্জ থানা এলাকার ট্রাফিক বিভাগকে ম্যানেজ করেই চালানো হচ্ছে নৈরাজ্য। ফলে তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। তাদের লিখিত কোন পরিচালনা কমিটিও নেই। ফলে দায়িত্বশীল কেউ এর দায় স্বীকারও করছেন না। তবে এসব বিষয়ে কাঞ্চন সেতু এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইনচার্জ ইকবাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় তিনি বলেন, কাঞ্চন কুড়িল রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন যাত্রী পরিবহন সার্ভিস চালু হয়নি। তবে যারাই চালাচ্ছেন তা অস্থায়ীভাবে চলছে বলে জানি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন