রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সরিষা তুলে ইরি-বোরো রোপণে গাবতলীর কৃষকের কাটছে ব্যস্ত সময়

দিনমজুর সংকটে বাড়ছে খরচ

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার গাবতলী উপজেলাতে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক পরিবার। হরতাল অবরোধ না থাকায় এখন সবার মন ভালো। তবে কবে কখন আবারো হরতালের ডাক হবে সেজন্য কৃষকরা এখন দিনরাতে মাঠে কাজ করছেন। গাবতলী কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ মৌসুমে উপজেলাতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৫০হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ আশা করছেন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এ বছরে ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়াও গাবতলী ইছামতি নদীতে জেগে উঠা জমিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। তবে দিনমজুর সংকট হওয়ায় তাদের মজুরি বেড়েছে। তবুও কৃষকরা পুরোদমে ধানের চারা রোপণে কাজ করছে। অনেকে ক্ষেতের সরিষা তুলে ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রামেশ্বরপুর আকন্দপাড়ার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ধানের চারা, সার ও পানি পাওয়ায় এখন আমরা ধান চাষ করছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান জাহিদ, জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, জান্নাতুন মহল তুলি ও ডিএস তনশ্রী জানান, সারের সংকট নেই। তবে বাজারে ধান বীজের চাহিদা রয়েছে। ফলে এবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কৃষক ধান চাষ করছে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোহরাব হোসেন জানান, অনেক কৃষক আলু, সরিষা ও সবজি ফসল ঘরে তুলে একই জমিতে ধান চাষ করছেন। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, এবছরে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন। রাকাব গাবতলী শাখা ব্যবস্থাপক মাহমুদুল আলম জানান, এবছরে বোরো ধান চাষে কৃষকদের মাঝে দ্রæততার সাথে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। সময়মত কৃষক ‘কৃষি ঋণ’ পাওয়ায় মাঠে এখন তারা বোরো ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ খাতে ঋণ বিতরণ চলবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন