গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়ায় মোটরসাইকেল চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত দুই বছরের ব্যবধানে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চুরির ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা বয়সে তরুণ। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এ তরুণরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও তোলপাড় চলছে। গঙ্গাচড়া সদর থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি হওয়ায় মোটরসাইকেল চোরদের ধরতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মোটরসাইকেল চুরি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কম। ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চোর আটকের বিষয়ে পুলিশ আন্তরিক নয়। যার কারণে গঙ্গাচড়ায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। কিন্তু একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া অনেক চুরির ঘটনা থানা পর্যন্ত পৌঁছায় না। গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের সামনে থেকে প্রাণি সম্পদ অফিসের স্বেচ্ছাসেবী নুরুল ইসলামের একটি সিটি বাজাজ মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়নি। সচেতন মহল জানান, পুলিশের কাছে অসম্ভব বলতে কিছু নেই। ইচ্ছা করলেই পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারবে। কিন্তু এ বিষয়ে কেন জানি পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। গঙ্গাচড়া মডেল থানার এসআই আবু হাসান কবির জানান, মোটরসাইকেল চোরদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় চোরদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। চুরি রোধে পুলিশের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিন্নাত আলী বলেন, মোটরসাইকেল চুরি রোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোটরসাইকেল মালিক ও সাধারণ জনগণ পুলিশকে সহযোগিতা করলে ও একটু সতর্ক হলে আর চুরি হবে না। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যে কোনো অপরাধ দমনে সোচ্চার। পুলিশ আন্তরিকভাবে মোটরসাইকেল চুরিসহ সব অপরাধ দমনে তৎপর। চুরি রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন