রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যমুনার চরে মরিচ শুকাতে মহিলাদের কাটছে ব্যস্ত সময়

বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, টিএম কামাল : উত্তরাঞ্চলে এবার মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়ে শেষমুহূর্তে মরিচ শুকনা করা হচ্ছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চলসহ মরিচ চাষ এলাকায় এখন বাতাসে শুকনা মরিচের গন্ধ। বাড়ির উঠান, বালুর চরে আর ঘরের চালে শোভা পাচ্ছে রক্তবর্ণ মরিচ। বগুড়ার গাবতলী, সারিয়াকান্দি, ধুনট, সোনাতলা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, চৌহালী, গাইবান্ধার সাঘাটা সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি উপজেলার ঘরে ঘরে মরিচ শুকানোর ধুম। যমুনা নদীর চরাঞ্চলের মরিচ চাষ ভালো ফলন ও দাম পেয়ে তিন হাজার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষি এবার নিজদের ভাগ্যই বদলে ফেলেছে। মরিচ চাষিরা জানিয়েছেন, গত ৪/ ৫ বছর মরিচের দাম বাড়লেও ভালো ফলন পাওয়া যায়নি। এবার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কয়েক বছরের লোকসান এক বছরেই পুষিয়ে নিচ্ছে। সিরাজগঞ্জের নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, মাইজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুরনগর, গাইবান্ধার হরিপুর, ভরতখালি, জারিয়া, কামারজানি, বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাজলা, সোনপচা, চালুয়াবাড়ি, মানকদাইর, শংকরপুর, মাজবাড়ি, পাকুরিয়া চরের বাড়ির উঠান, ঘরের চালে ও বালুর চরে লাল টুকটুকে মরিচ শোভা পাচ্ছে। জমি থেকে দু’দফা কাঁচামরিচ তুলে বিক্রি করে শেষপর্যায়ে মরিচ শুকানো হচ্ছে। যমুনা নদীর দুর্গম চরজুড়ে প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে ও বালুর চরে লাল টুকটুক মরিচ শোভা পাচ্ছে। কাজিপুরের মাজনাবাড়ী চরের আব্দুল মালেক, কাদের, কোরবান আলী, মজিবর, কোবাদ আলী, হাসিনা বানু, মেহেরুন্নেছা বাড়ির উঠানে মরিচ শুকাতে ব্যস্ত। মরিচের ঝালের ঝাঁজ ওদের কাবু করতে পারছে না। ভালো ফলন ও দাম পেয়ে মরিচের ঝাঁজকে আমলে আনছে না। প্রকৃতির অনুকূল পরিবেশে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে হাসিমাখা মুখে কয়েকজন কৃষক জানান, মরিচ চাষে এবার খরচ বেশি হলেও দামও পাচ্ছে বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন