বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : বরগুনা জেলা শহরের আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ গত এক মাস ধরে ডাকাত আতঙ্কে রয়েছে। সন্ধ্যার পরেই ডাকাত ডাকাত বলে চারদিক থেকে শুরু হয়ে যায় ডাক চিৎকার। এটা নিত্যদিনের ঘটনা। তাই ডাকাত প্রতিরোধে অনেকেই নিজেরা উদ্যোগী হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন নিজ নিজ এলাকা। তবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকলেও, পুলিশ প্রশাসন বলছে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরগুনা জেলা শহর থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে লবনগোলা, মাইঠা, হাজারবিঘা, মানিকখালী, বুড়িরচর, কামরাবাদ, খেজুরতলা, লাকুরতলা গ্রাম। সন্ধ্যে হলেই এসব গ্রামের মানুষের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এবাড়ি ওবাড়ি ডাকাতির পাশাপাশি বিত্তবানদের কাছে ডাকাতরা পাঠাচ্ছে উড়ো চিঠি। ফলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলে দলে বিভক্ত হয়ে সারারাত পাহারা দিচ্ছেন আতঙ্কিত গ্রামবাসী। গ্রামবাসীরা জানান, গত এক মাস ধরে এসব এলাকায় ডাকাতির ঘটনাই শুধু ঘটেনি, ডাকাতির পাশাপাশি ডাকাতরা লুণ্ঠন করছে মা-বোনদের সম্ভ্রম। যার ফলে শ্রমজীবী থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষ দিনের বেলা কাজ শেষে নিজ পরিবারের সদস্যদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন যার যার এলাকা। সম্প্রতি ডাকাতের হামলায় লাকুরতলা গ্রামের এক ইউপি সদস্যসহ আহত হয়েছেন অনেকে। এসব এলাকার মানুষের দাবী ডাকাত প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের আরও একটু সজাগ দৃষ্টি রাখার প্রতি। এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় জনগনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডাকাত প্রতিরোধে তাদের অভিযান চলছে। আর স্থানীয়দের রাতভর পাহারা দেয়ার বিষয়টি দেখছেন জন সচেতনতার অংশ হিসেবে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৩টি ডাকাতির মামলায় বরগুনা সদর থানায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন