চট্টগ্রাম ব্যুরো : আবর্জনা থেকে উদ্ধার নবজাতক ‘একুশের’ মা হতে আগ্রহের কমতি নেই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের। চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও একুশকে সন্তান হিসেবে পাওয়ার জন্য ছুটছেন আদালতে। এদের মধ্যে নিঃসন্তান দম্পতি যেমন আছেন, তেমনি আছেন সন্তানের মা-বাবাও।
গতকাল (রোববার) একদিনে ছয়টি আবেদন জমা পড়েছে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশুবিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে। আদালত সব আবেদন নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। একুশ সুস্থ হওয়ার পর বিশেষ শুনানির মাধ্যমে আবেদনগুলো আদালত নিষ্পত্তি করবে। আদালতে যাদের আবেদন জমা পড়েছে তারা হলেন অ্যাডভোকেট চুমকি চৌধুরী, ব্যবসায়ী মো : শহীদুল্লাহ, চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ, গৃহিণী জেসমিন আক্তার, অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জুনিয়র সহকারী শিক্ষিকা লুবনা ইয়াসমিন এবং ডা : জাকের ইসলাম ও শাকিলা আক্তার দম্পতি। অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ বলেন, শুনেছি চুমকি চৌধুরী আমাদের বারের আইনজীবী। তার মেয়ে আছে কিন্তু ছেলে নেই। ছেলে হিসেবে তিনি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা শিশুটিকে লালন-পালন করতে চান। একজন নিঃসন্তান চিকিৎসকও আবেদন করেছেন। আবেদনের সঙ্গে তিনি তার বিএমএ সনদও জমা দিয়েছেন। ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়া পাওয়া একটি শিশুর জন্য এই ভালোবাসা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আদালত বলেছেন, শিশুটি আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ যখন প্রতিবেদন দিয়ে বলবে যে, শিশুটি সুস্থ তখন শুনানি হবে। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর কর্নেলহাট এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন আবর্জনার ভাগাড়ে নবজাতকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন যুবক। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন