মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন নিহতের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশ সহ ৩৫৯ জনের বিরুদ্বে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট ( আমলি আদালত -১ ) আদালতে করা মামলার আবেদন আজ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট ( আমলি আদালত -১ ) আদালতে করা বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সালাহউদ্দিন খানঁ এর মামলার আবেদনের উপর আজ আদেশের দিন ধার্য ছিল। আজ বিকাল সাড়ে চারটায় সিআরপিসি ২০৩ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট রহিমা আক্তার আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।
মুক্তারপুরে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা কর্মীদের সংঘর্ষে শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় মোঃ সালাহউদ্দিন খানঁ বিএনপির পক্ষ থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্টেট ( আমলি আদালত -১ ) আদালতে ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন পুলিশ সদস্য এবং ২০০ থেকে ৩০০ জন সরকার দলীয় কর্মীর বিরুদ্বে মামলার জন্য আবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সার্কেল ) মিনহাজ উল ইসলাম ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) সুমন দেব , সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুজ্জামান , এসআই মোঃ ফরিদ উদ্দিন , মোঃ আরিফুর রহমান , সুকান্ত বাউল , এএসআই নকুল চন্দ্র দর , অভিত চন্দ্র বিশ্বাষ , মন্টু বৈদ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুক্তারপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি , নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি , খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতা কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।এ সময় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মীরকাদিম পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাওন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে।
এর আগে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন সংবাদ সন্মেলনে দাবী করেন শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যু গুলিতে নয় মাথায় ইটের আঘাতে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন